বাগেরহাট প্রতিনিধিঃ বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে ৩৫ নং এম কে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বেবী দেবনাথারে বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগের তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। সোমবার (৫ জুন) দুপুরে তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। খুলনার রুপসা উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. আমিনুল ইসলাম সরেজমিনে এ তদন্ত সম্পন্ন করেন।
জানাগেছে, উপজেলার রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের ৩৫ নং এম কে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বেবী দেবনাথারে বিরুদ্ধে বিভিন্ন দপ্তরে ক্ষমতা অপব্যবহার, পরিচালনা পরিষদকে অবমুল্যায়ণ, অভিভাবকদের সাথে অসাধ আচারণসহ নানা বিধ অভিযোগ করেন শিক্ষার্থী অভিভাবকগন। সে অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিভাগিয় শিক্ষা অফিসার খুলনা রুপসা উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. আমিনুল ইসলামকে তদন্তকারী কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়াহয়।
তদন্তকারী কর্মকর্তা সোমবার দুপুর ১২ টার দিকে স্কুলে স্ব-শরীরে তদন্ত করেন। এ সময় তদন্ত কারী কর্মকর্তা অভিযোগ কারীদের কাছে থেকে তিনি লিখিত বক্তব্য গ্রহন করেন। তদন্ত চলাকালিন সময় প্রধান শিক্ষক বেবী দেবনাথের বিরুদ্ধে আরো ৭ জন অভিভাবক লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। স্থানীয় অভিভাবকরা জানান, বেবী দেবদনাথ ও সহকারী শিক্ষক অনিমেষ দেবনাথ ভাইবোন হওয়ায় এরা যা খুশি তাই করেন।
এ ব্যপারে স্কুল পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি মো. শাহদাত হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি মষনি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একজন সহকারী শিক্ষক। ক্যাচমেন্ট এলাকায় বিএ পাস অভিভাবক নাথাকায় তাকে সভাপতি করা হয়েছে। প্রধান শিক্ষক বেবী দেবনাথ তাকে সবক্ষেত্রে অবমুল্যায়ন করেন।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক বেবী দেবনাথ বলেন তিনি এই স্কুলে ১৭ বছর ধরে চাকুরী করেন। তিনি সভাপতি এবং শিক্ষার্থী অভিভাবকদের সাথে কোন অসাধ আচারণ করেননি । একটি মহল তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে হয়রানী করছে।