মঈন নাসের খাঁন ,কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধি: কুমিল্লা বিশ্ব পরিবেশ দিবস আলোচনা সভায় চালাকালীন হঠাৎ দুই-শতাধিক নারী জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে ডুকে জেলা প্রশাসক মোহাম্মাদ শামীম আলম বক্তব্য চলাকালীন বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিক্ষোভ করেন।
সোমবার (৫ জুন) দুপুর ১টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কার্যালয়ে কক্ষে জেলার বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ সামনে এ ঘটনা ঘটে।
এসময় অনুষ্ঠান চালাকালীন বিক্ষোভকারী নারী বলেন, আজ বিশ্ব পরিবেশ দিবস,অথচ ২৫০ বছর ঐতিহ্যবাহী নগরীর হাতি পুকুর ভরাট করলে এ বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরকে বারবার বলা হলেও তারা কোন পদক্ষেপ নেয়নি,আমরা আমাদের পুকুর ভরাট বন্ধ চায়। না হয় এখানে অমরন অনশন করবো।
পরে হট্টগোল শুরু হলে জেলা প্রশাসকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এসে সম্মেলন কক্ষ থেকে বিভোক্ষকারী নারীদের বের করে দেন। পরে জেলা প্রশাসনের কক্ষের সামনে দীর্ঘ ১ ঘণ্টা অবস্থান নেন তারা। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম এসে বিক্ষোভকারী ৫ জন প্রতিনিধিদের সাথে এ বিষয় কথা বলে পুকুর ভরাট বন্ধের আশ্বাস দিলে বিক্ষোভ কারী জেলা প্রশাসন কার্যালয় ত্যাগ করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, কুমিল্লায় নগরীর ১৭ নং ওয়ার্ডের ২য় মুরাদপুর এলাকায় হাতিপুকুর পুকুর ভরাট করছেন রাজগঞ্জ বাজারে সাবেক সভাপতি আব্দুল জলিল ও একই এলাকার আলী আজাদ তার দলবল। অথচ পুকুরটি ২৫০ বছর ধরে এ এলাকার প্রায় ৫০ হাজার মানুষের পানির চাহিদা পূরণ করছে। বর্তমানে এ ঐতিহাসিক পুকুরটি রাতের আধারো ২য় মুরাদপুর মৃত সোনা মিয়ার ছেলে আবদুল জলিল ও তার সহযোগী আলী আজাদ মিলে প্রকাশ্যে এ পুকুর ভরাট করে দখন করছেন।
স্থায়ীদের অভিযোগ, এবিষয় জেলা প্রশাসন ও প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিকট অভিযোগ করলে কোনো সুরাহা হয়নি। বরং রাজনৈতিক নেতাদের রূপসী আশ্রয়ে পুকুরটি ভরাট করা হচ্ছে।
২য় মুরাদপুর বাসিন্দা আতিকুল রহমান মামুন বলেন,ভূমিদস্যু জলিল প্রশাসনকে টাকা দিয়ে ও রাজনীতি নেতাদেরকে ম্যানেজ করে জোর করে আমাদের পুরাতন এ পুকুর দখল করে ভরাট করছে। এটি ওয়াকফা সম্পত্তি দানকৃত সম্পত্তি । সম্প্রতিকালে জলিল জোরপূর্বক ভাবে পুকুরটি দখল করে ভরাটের কাজ চলমান রেখেছে।
কুমিল্লায় পরিবেশ অধিদপ্তরের মোসাব্বের হোসেন মোহাম্মদ রাজিব বলেন, তাদের বক্তব্য টি সঠিক নয়। আমরা এ বিষয় টি নিয়ে চিঠি ইন্স্যু করছি, আমরা প্রয়োজনী ব্যবস্থা গ্রহন করবো।
এভাবে বিক্ষোভকারীরা অনুষ্ঠান চলাকালীন তারা আসা একেবারে ঠিক হয়নি।
এ বিষয় কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম বলেন, পুকুর ভরাটের বিষয় ২য় মুরাদপুর এলাকার ৫ জন বাসিন্দার সাথে আমরা কথা বলছি । বিষয়টি সমাধানের জন্য ভূমি অফিসকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এছাড়া আমাদের একটি টিম সরেজমিন গিয়ে বিষয়টি দেখবো।