
আবদুল্লাহ আল মামুন, সাতক্ষীরা জেলা প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ১ নম্বর বাঁশদহ ইউনিয়নের রেউই সীমান্তের রেউই বাজার এলাকা এখন
চোরাচালানের প্রধান পথ। ওই এলাকায় গড়ে তুলেছে একটি চোরাচালানের সিন্ডিকেট এবং ওই সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করে রেউই গ্রামের বাপ্পি।
জানা গেছে, চোরাচালানীদের নিরাপদ রুট হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ১ নম্বর বাঁশদহ ইউনিয়নের রেউই এলাকা।
এলাকাবাসীরা জানায়, সীমান্তের তলুইগাছা, কেঁড়াগাছি, গাড়াখালী ও কুশখালী এলাকা দিয়ে বিভিন্ন ধরনের মাদক দ্রব্য যেমন গাঁজা, ফেনসিডিল, মদ, পাতার বিড়ি, বিড়ির পাতা ও তামাক, তালা, শাড়ি সহ নানা ধরনের ভারতীয় দ্রব্য সামগ্রী পাচার করে চোরাচালানীরা সীমান্ত সড়ক ওই রেউই এলাকা দিয়ে সাতক্ষীরাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পৌঁছে যায়। সীমান্তের এতগুলো সড়ক থাকা সত্বেও রেউই এলাকাকে চোরাচালানিরা কেন ব্যবহার করে এ বিষয়ে প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, ওই গ্রামের মৃত জব্বার মাস্টারের ছেলে এলাকার কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী বাপ্পি, সাতক্ষীরা জেলার বিভিন্ন সংস্থার সাথে যোগসাজশ করে ওই এলাকায় একটি চোরাচালান সিন্ডিকেট তৈরি করেছে। এই সিন্ডিকেট প্রধান বাপ্পীকে টাকা দিয়ে চোরাচালানিরা ও মাদক ব্যবসায়ীরা নিরাপদে তাদের গন্তব্যে পৌঁছাতে পারে।
এদিকে অন্য একটি সূত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, রেউই এলাকায় বাপ্পির নেতৃত্বে চোরাচালান সিন্ডিকেট গড়ে তোলা হয়েছে। ওই সিন্ডিকেটের অন্যান্য সদস্যরা হলো রেউই গ্রামের ফকির আহমদের ছেলে আলিফ, সাইদুল মেম্বার, কাওনডাঙ্গা গ্রামের মৃত শরবত আলীর ছেলে আবুল হোসেন, গড়িয়াডাঙ্গা গ্রামের গোলাম বারির ছেলে হাফিজুল ইসলাম, কাওনডাঙ্গা গ্রামের আমজাদ হোসেনের ছেলে আলী হোসেন, কাওনডাঙ্গা গ্রামের সোনাই সরদারের ছেলে সাইদুর রহমান।
উল্লেখ্য, এই সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ভারত থেকে মাদক সহ নানা ধরনের চোরাচালানী পণ্য নির্ভয় প্রবেশ করছে বাংলাদেশে। সাতক্ষীরা সদর থানা পুলিশ প্রতিনিয়ত এসমস্ত গাঁজা ফেনসিডিল ইয়াবা ট্যাবলেটসহ মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেফতার করছে। ওই সকল মাদক রেউই চোরাচালান সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রবেশ করে থাকে।
এলাকার অভিজ্ঞ মহল মনে করছে রেউই চোরাচালান সিন্ডিকেট বন্ধ করা গেলে সাতক্ষীরা অঞ্চলে মাদক চোরাচালান অনেক অংশে হ্রাস পাবে।এ ব্যাপারে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলা পুলিশ সুপার মহোদয়ের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন এলাকাবাসী।