অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে কক্সবাজারের সেন্টমার্টিনে ঝোড়ো বাতাসের পাশাপাশি পানির উচ্চতাও বেড়েছে।
সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান জানান, শনিবার (১৩ মে) মধ্যরাত থেকেই হালকা বাতাস ও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু রোববার (১৪ মে) ভোর থেকে ঝড়োবাতাসের সঙ্গে মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হয়। জোয়ারের পানিও বেড়েছে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় মোখায় সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে সেন্টমার্টিনের বাসিন্দারা। ফলে গত শুক্রবার (১২ মে) সকাল থেকে স্থানীয়রা দ্বীপ ছাড়তে শুরু করেন।
মুজিবুর রহমান বলেন, ক্ষয়ক্ষতি কমাতে উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশনায় প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আমি নিজেও প্রতিটি আশ্রয় কেন্দ্র ঘুরে ঘুরে দেখছি। কোথাও কোন সমস্যা হলে সমাধান করার চেষ্টা করছি।
অন্যদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তরের ১৭ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও আরও ঘনীভূত হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি রোববার সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টার মধ্যে কক্সবাজার-উত্তর মিয়ানমার উপকূল অতিক্রম করতে পারে। চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগের উপকূলীয় এলাকায় অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রভাগের প্রভাব শুরু হয়েছে।
অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৯০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ২১০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে। কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।