ফরিদপুর প্রতিনিধি: ফরিদপুররে সদরপুর উপজেলার আকোটের ইউনিয়নের পিঁয়াজখালী নতুন বাজারে নুরু খানের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক জমি দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গত ৩০ এপ্রিল সেখ তোফাজ্জেলের ৫ শতাংশ জমির উপর জোরপূর্বক একটি টিনের ঘর নির্মাণ করে রাতারাতি সম্পূর্ণ জমি দখল নিয়ে নেন নুরু খান, তাঁর ছেলে এবং ভাইয়েরা।
অভিযোগকারী শেখ তোফাজ্জেল জানান, তাঁর বাবা শেখ আমিন উদ্দিন ১৯৯৮ সালে জলিল খানের নিকট থেকে
১৮ শতাংশ জমি ক্রয় করলে এর মধ্যে ১৩ শতাংশ জমি রেকর্ডভূক্ত হলেও ৫ শতাংশ জমি ভুলক্রমে রেকর্ড থেকে বাদ পড়ে যায়। তোফাজ্জেল উক্ত ৫ শতাংশ জমি রেকর্ডভূক্তির লক্ষ্যে ২০১০ সালে ভাঙ্গার মুনসেফ কোর্টে একটি মামলা করলে ২০১১ সালে তোফাজ্জেলের পক্ষে রায় প্রদান করেন আদালত। পরবর্তীতে বিবাদীরা ফরিদপুর জজ কোর্টে উক্ত রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করলে সেখানেও রায় পান সেখ তোফাজ্জেল। বিবাদীরা পূনরায় হাই কোর্টে আপিল করলেও সেটি খারিজ হয়ে যায়। কোর্টের রায় পাওয়ার পর সেখ তোফাজ্জেল সদরপুর উপজেলা ভূমি অফিস থেকে ওই ৫ শতাংশ জমির নামজারি করান এবং মাটি ভরাট করে জমিতে দখলে যান।
কিন্তু হঠাৎ করে আদালতের আদেশ অমান্য করে ইদ্রিস খানের ছেলে নুরু খান ও তার ভাইয়েরা, তার ছেলে এবং ভাতিজারা মিলে অসহায় তোফাজ্জেলের জমি জোরপূর্বক দখল করে টিনের ঘর নির্মাণ করেন।
ভুক্তভোগী তোফাজ্জেল জানান, “নুরু খান একজন প্রভাবশালী লোক হওয়ায় ভয়ে কেউ তাঁর বিরুদ্ধে কিছু বলতে পারেনা। তিনি আদালতের রায়কে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে যাচ্ছেন। প্রতিনিয়ত আমাকে হুমকি প্রদান করছেন। আমি প্রশাসনকে জানিয়েও কোন ফলাফল পাইনি। নূরু খানের ভয়ে আতংকিত রয়েছে আমার পরিবার।