আবদুল্লাহ আল মামুন, সাতক্ষীরা জেলা প্রতিনিধি: সাতক্ষীরায় ঘূর্ণিঝড় এলেই দূবল বাঁধ ভাঙার আতঙ্কে রয়েছেন উপকূলবাসী ।একের পর এক ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত সাতক্ষীরার উপকূল। আবার আসছে নতুন ঘূর্ণিঝড়। আগের ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার আগেই আবারো ঘূর্ণিঝড়ের খবরে রীতিমতো দুশ্চিন্তায় উপকূলের মানুষ। এখনো নির্মাণ হয়নি টেকসই উপকূল রক্ষা বেড়িবাঁধ। ঘূর্ণিঝড় এলেই বাঁধ ভাঙার আতঙ্কে রয়েছেন উপকূলবাসী।
তবে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা বলছেন, ঝূকিপূর্ণ বাঁধগুলো এরইমধ্যে সংস্কার করা হয়েছে।
শ্যামনগর ও আশাশুনি উপজেলার নদী তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দারা জানান, বেড়িবাঁধের বিভিন্ন স্থানে সংস্কারের কাজ চললেও বেশ কিছু স্থান এখনো মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। যা ঘূর্ণিঝড় সৃষ্ট জোয়ারের চাপ মোকাবিলায় সক্ষম না।পদ্মপুকুর ইউনিয়নের পাতাখালি এলাকার বাসিন্দা শাহিন বিল্লাহ জানান, তাদের ইউনিয়নের বেশ কিছু পয়েন্টের ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ সংস্কার করা হয়েছে। এখনো কিছু এলাকায় বাঁধের কাজ চলছে। তবে সেটি টেকসই বাঁধ না। অনেকটা দায়সারাভাবে বাঁধ মেরামত করা হচ্ছে।
একই ইউনিয়নের ঝাঁপা এলাকার বাসিন্দা মাসুম হোসেন বলেন, কিছুদিন আগে এই এলাকার তিন কিলোমিটার বাঁধ সংস্কার করা হয়েছে। তবে এসব বাঁধ ঘূর্ণিঝড়ের সময় জোয়ারে টিকবে না।
বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ভবতোষ মন্ডল জানান, বর্তমানে বুড়িগোয়ালিনীর দুর্গাবাটিতে দুই জায়গায় ও দাতিনাখালীসহ মোট তিনটি স্থান ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। যেকোনো সময় জোয়ারের চাপে এসব এলকায় বেড়িবাঁধ ভেঙে আবারো প্লাবিত হবে। এছাড়া এই এলাকায় বিপুল সংখ্যক মানুষের জন্য পর্যাপ্ত সাইক্লোন শেল্টার নেই।
মুন্সীগঞ্জ ইউনিয়নের বাসিন্দা আলম সরদার জাগো নিউজকে জানান, তাদের ইউনিয়নের হরিনগর, মৌখালী এলাকায় চুনা ও মালঞ্চ নদীর বেড়িবাঁধের একাধিক স্থান ঝুঁকিতে রয়েছে। এগুলো দ্রুত সংস্কার করা না হলে জোয়ারের চাপে সেটি ভেঙে লোকালয়ে লবণপানি প্রবেশ করবে।
গাবুরা ইউনিয়নের কবিরুল ইসলাম জানান, গাবুরার চকবারা, লেবুবুনিয়া, হরিষখালী, পার্শেমারী, টেকেরহাটসহ কয়েকটি এলাকায় খোলপেটুয়া ও কপোতাক্ষ নদীর বেড়িবাঁধের ৮টি পয়েন্ট ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে।তবে শ্যামনগরে কর্মরত পাউবোর এসও সাজ্জাদ হোসেন বলেন, শ্যামনগরে পাউবোর বেড়িবাঁধের অধিকাংশ ঝুঁকিপূর্ণ স্থান মেরামত সম্পন্ন হয়েছে। বাকিগুলোর কাজ চলমান আছে।
তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে কোনো পয়েন্টে বেড়িবাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হলে তাৎক্ষণিক মেরামতের জন্য অগ্রীম সব প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মো. হুমায়ুন কবির বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় অগ্রীম সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এরইমধ্যে সব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ইউপি চেয়ারম্যানদের সতর্কমূলক বার্তা পাঠানো হয়েছে।