বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে যশোরে ইবনে সিনা হাসপাতালের চিকিৎসক সুদীপ্ত হাসান দ্বীপ্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (৪ মে) তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর আগে এই ঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
গ্রেপ্তার ওই চিকিৎসক যশোর শহরের পুরোনো কসবা ঘোষপাড়া ঢাকা রোড এলাকার তৈয়েমুর হোসেনের ছেলে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, বাদী পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার দাশুরিয়া এলাকার বাসিন্দা। তিনি ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করেন। ছয় বছর আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে চিকিৎসক সুদীপ্ত হাসানের সঙ্গে পরিচয়। একপর্যায়ে তিনি বাদীকে তিনি বিয়ের প্রস্তাব দেন। এরই মধ্যে দু’জনের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
২০২১ সালের ৩১ মে সন্ধ্যা ৭টার দিকে সুদীপ্তের ভাড়া বাসায় বাদীকে ডেকে নিয়ে যান। সেখানে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তাকে ধর্ষণ করেন। ২০২২ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ১০টার দিকে রাঙামাটি জেলার সাজেক ভ্যালিতে, ১৭ সেপ্টেম্বর বিকেল ৫টা ও ১ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ৭টার দিকে সেখানকার রুই লুই কুইন রিসোর্টে একাধিকবার ধর্ষণ করেন।
এই বিষয়গুলো সুদীপ্তের বাবা তৈয়েমুর হোসেন ও মা শামীমা আক্তার ছায়াকে জানানো হলে তারা বাদীকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। সর্বশেষ গত ১৯ এপ্রিল বিকেল ৫টার দিকে সুদীপ্তকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বাদীকে বিয়ে করে বাড়িতে নেওয়ার কথা বলা হয়। কিন্তু সুদীপ্ত বিয়ের কথা অস্বীকার করে গালিগালাজসহ খুন জখমের হুমকি দেয়। এই ঘটনায় বুধবার থানায় এজাহার দেওয়া হলে পুলিশ মামলাটি রেকর্ড বরে সুদীপ্তকে গ্রেপ্তার করে।
যশোর কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শফিকুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় অভিযুক্ত চিকিৎসক সুদীপ্তকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।