রাজবাড়ী সদর উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বরাট ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি শেখ সুমন সবুজকে (২৮) গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
রোববার রাত ১০টার দিকে বরাট ইউনিয়নের উড়াকান্দা এলাকায় সবুজের নিজ ঘরের জানালা দিয়ে তাকে গুলি করা হয়। নিহত সবুজ উড়াকান্দা এলাকার শামসুল আলম বাবুর ছেলে।
নিহত শেখ সুমন সবুজের চাচা শেখ ফরিদ উদ্দিন যুগান্তরকে বলেন, উড়াকান্দা এলাকায় পদ্মা নদীর পাড়ে অবস্থিত গল্পগৃহ রিসোর্টের পাশে সবুজ ও তার কয়েকজন বন্ধু মিলে ডিজিটাল বৈদ্যুতিক নৌকা, জাম্পিং স্লিপারসহ বিনোদনের বিভিন্ন সরঞ্জাম নিয়ে ব্যবসা শুরু করে আসছিলেন।
রোববার রাত ১০টার দিকে সবুজসহ তার আরও আটজন পার্টনার, অর্থাৎ মোট ৯ জনের ঘরের দরজা বন্ধ থাকলেও জানালা খুলে রিসোর্টের আয়ের টাকা হিসাব করতে থাকেন।
কিন্তু হঠাৎ সবুজের বাড়ির সামনে একটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে দুর্বৃত্তরা আতঙ্ক সৃষ্টি করে। এর পর বাড়ির মধ্যে ঢুকে ঘরের জানালা দিয়ে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়তে থাকে। এতে সবুজের কপালে এবং ঘরের মধ্যে থাকা সজীব নামে এক যুবকের পেট ও পায়ে গুলি লাগে।
অবস্থা বেগতিক দেখে ঘরের মধ্যে থাকা অন্যরা দরজা খুলে দৌড়ে বাইরে গেলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যান। তাৎক্ষণিক সবুজ ও সজীবকে উদ্ধার করে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসক দুজনকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন।
ফরিদপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কিছুক্ষণ পরেই সবুজ মারা যান। তবে কি কারণে সবুজকে হত্যা করা হয়েছে তাৎক্ষণিকভাবে তা জানা যায়নি।
এ বিষয়ে রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার এমএম শাকিলজ্জামান বলেন, গুলির ঘটনা শোনার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের জেরে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটতে পারে।
ঘটনার প্রকৃত কারণ উদ্ঘাটন ও এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান পুলিশ সুপার।