সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাঁধন থিয়েটার একটি ব্যতিক্রমী সংগঠন। দেশীয় সংস্কৃতি চর্চায় দূর প্রবাসে নাট্য সংগঠনটি গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে যাচ্ছে। আবহমান বাংলার মূল সংস্কৃতিকে প্রবাসে বেড়ে ওঠা নতুন প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দিতে দেশে দেশে এরকম সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রয়োজন রয়েছে। সংস্কৃতি চর্চা অব্যাহত রাখতে এরকম সংগঠনকে সহযোগিতা করা উচিৎ।
রবিবার (১৯ মার্চ) বাংলাদেশ সমিতি শারজার বঙ্গবন্ধু হলরুমে মহান স্বাধীনতা ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ‘বাংলার ঘরে ঘরে ৫’ এবং পুরস্কার বিতরণী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধনা অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কনসাল জেনারেল বিএম জামাল হোসেন এসব কথা বলেন।
প্রকৌশলী জহুর হোসাইন শাহিনেরর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দীন পলাশের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন, কনস্যুলেট লেডিস গ্রুপের সভাপতি আবিদা হোসেন, প্রকৌশলী আবু জাফর, মাজহারুল্লাহ মিয়া, নুরুন্নবী রওশন, প্রকৌশলী মুরশেদ প্রমুখ।
সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য মামুনুর রশীদ বলেন, ‘আমাদের মূল বিষয় নাট্য চর্চ্চা হলেও আমরা এতেই সিমাবদ্ধ নই। বাংলা সংস্কৃতির প্রতিটি ক্ষেত্রেই রয়েছে আমাদের পদচারণা। যাতে রয়েছে সঙ্গিত, নৃত্য ও সাহিত্য চর্চ্চা। তারই ধারাবাহিকতায় আমরা ২০০২ সাল হতে এ পর্যন্ত প্রায় দুই যুগ ধরে এই আরব আমিরাতের প্রত্যন্ত অঞ্চলে নানা অনুষ্ঠান করেছি।’
তিনি বলেন, ‘বাঁধন থিয়েটার এই পর্যন্ত একাধিক নাটক, নাটিকা সহ অনেক সঙ্গীতানুষ্ঠান সফলতার সাথে অনুষ্ঠিত করেছে। কন্স্যুলেট মঞ্চ সহ আমিরাতের বিভিন্ন মঞ্চে আমরা বিজয় দিবস, স্বাধীনতা দিবস, পহেলা বৈশাখ, বাংলা ভাষা দিবস, নজরুল – রবীন্দ্র জয়ন্তী সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের নিমন্ত্রণে অসংখ্য নাটক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে প্রচুর সুনাম অর্জন করেছি। আর সে কারণেই বাঁধন থিয়েটার এখন আরব আমিরাতে একটি পরিচিত নাম। আমরা এই পর্যন্ত নিজেদের প্রযোজনায় ৫৩ টি এবং অন্নান্যদের ব্যানারে ৪৫ টি সহ সর্বমোট ৯৮ টি অনুষ্ঠান সফলতার সাথে সম্পন্ন করেছি। এ ছাড়াও বাঁধন থিয়েটার বাংলা সংস্কৃতি চর্চ্চায় বিভিন্ন বিষয়ের উপর অবদান রাখার জন্য নাট্য, সঙ্গিত, নৃত্য ও সাহিত্যের উপর ৫১ টি সম্মাননা প্রদান করেছে।’
এ দিন আজীবন সম্মাননা দেওয়া হয়েছে বাঁধনের দুই প্রতিষ্ঠাতা সদস্য সৈয়দ খোরশেদ আলম, মুহাম্মদ শাহজাহানকে। এবং করোনার সময়কাল থেকে ‘বাঁধন পাঠশালা’ নামে অনলাইন ক্লাসের মাধ্যমে প্রবাসী শিশুদের মাঝে বাংলা ভাষা শিক্ষাদান দেওয়ায় সুমনা দাসকে বিশেষ সম্মাননা দেওয়া হয়েছে।
অনুষ্ঠানে সংগঠনের সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, মোহাম্মদ শাহজাহান, মাকসুদা খানম, সৈয়দ খোরশেদ আলম, নাজমা জর্জ, উত্তম বড়ুয়া, সবুজ, সাউদ্দিন, ইয়াসিন মোল্লা, তিথি সরকার, উত্তম বাবু, শিপন কর্মকার ও মিতা সাহা৷