যশোরের চৌগাছায় হাবিবুর রহমান (২৭) নামে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) সাবেক এক শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন। চাকরি না হওয়া এবং অসুস্থতায় মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে দাবি পরিবারের।
শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) দুপুরে উপজেলার স্বরুপদাহ ইউনিয়নের জলকার-মাধবপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। পরে পরিবারের সদস্যদের আবেদনের প্রেক্ষিতে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফনের অনুমতি দেয়া হয়।
হাবিবুর বিশ্ববিদ্যালয়ে নৃবিজ্ঞান বিভাগের ৪৪তম ব্যাচের (২০১৪-১৫) শিক্ষার্থী ছিলেন। যশোরের চৌগাছা উপজেলার স্বরূপদাহ ইউনিয়নের জলকার-মাধবপুর গ্রামের মৃত আয়নাল হকের ছেলে তিনি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার দুপুরে হাবিবুরকে বাড়ির একটি কক্ষে বৈদ্যুতিক পাখার হুকের সঙ্গে গলায় রশি দিয়ে ঝুলতে দেখে ভাতিজি চিৎকার শুরু করে। পরে পরিবারের সদস্যরা এসে রশি কেটে নামিয়ে দেখেন হাবিবুরের মৃত্যু হয়েছে।
খবর পেয়ে চৌগাছা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইয়াসিন আলম চৌধুরীসহ পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে যায়। সেখানের পরিবারের সদস্য ও গ্রামের লোকজনের অনুরোধে এবং আবেদনের প্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়। পরে সন্ধ্যায় পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। হাবিবুরের বড় ভাই আনিছুর রহমানের বরাত দিয়ে চৌগাছা থানার উপপরিদর্শক জয়নুল ইসলাম সংবাদমাধ্যমকে জানান, হাবিবুর প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষক পদে ভাইভা দিয়েছিলেন। কিন্তু চূড়ান্তভাবে তিনি নির্বাচিত না হওয়ায় তার মধ্যে হতাশা বেড়ে যায়। চোখের সমস্যার কারণে তার প্রতিবন্ধী কোটাও ছিল। দিন দিন চোখের সমস্যা বাড়ছিল। সব মিলিয়ে তিনি হতাশ ছিলেন। এ ছাড়া অন্য কোনো কারণ খুঁজে পাওয়া যায়নি।