ফরিদপুরে বিএনপির বিভাগীয় গণঅবস্থান কর্মসূচিতে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের হামলা এবং উভয় পক্ষের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় পণ্ড হয়েছে।
বুধবার (১১ জানুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে ফরিদপুরের অম্বিকা ময়দানে শুরু হয় বিএনপির ফরিদপুর বিভাগীয় গণঅবস্থান কর্মসূচি। কর্মসূচিতে রাজবাড়ী, শরীয়তপুর, গোপালগঞ্জ, মাদারীপুরসহ স্থানীয় নেতাদের উপস্থিত থাকার কথা ছিল।
বিএনপি নেতাকর্মী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নেতাকর্মীরা কর্মসূচি স্থলে জমায়েত হতে থাকে। এর ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই স্থানীয় নেতা-কর্মীরা বক্তব্য দেয়ার সময় যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা লাঠিসোটা নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় বিএনপি নেতাকর্মীরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে দু’পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এ সময় বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। উভয় পক্ষের মাঝে সংঘর্ষ শুরুর পর বিপুল সংখ্যক পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালায়। পরে পুলিশ টিয়ারসেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। উভয় পক্ষের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার কারণে বিএনপির নির্ধারিত বিভাগীয় গণঅবস্থান কর্মসূচি পণ্ড হয়ে যায়।
গণঅবস্থান কর্মসূচিতে হামলার জন্য যুবলীগ ও ছাত্রলীগকে দায়ী করে বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহমেদ আজম খান বলেন, এ ঘটনায় বিএনপির অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। এ সময় বিএনপির কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা অবস্থান স্থল থেকে চলে যেতে বাধ্য হন।
পুলিশের ফরিদপুর সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন রঞ্জন সরকার জানান, বিএনপিরও কয়েকটি গ্রুপ রয়েছে, আবার বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোও মাঠে ছিল। কোথা থেকে কীভাবে বিবাদের শুরু হলো সেটা এখনো জানি না, তবে দু’পক্ষের ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হলে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।