ফরিদপুর প্রতিনিধিঃ ফরিদপুর শহরের রথখোলায় এলাকায় জমি সংক্রান্তের জের ধরে প্রতিপক্ষ আশন্ত কুমার সাহা, পার্থনাথ সাহা, ভচননাথ সাহাসহ অজ্ঞাত নামা আরো ১০ থেকে ১৫ জন লোক এসে ১৪ জুন ২০২০ তারিখ বিকাল আনুমানিক ৩ ঘটিকার সময় একই এলাকার উত্তম ঘোষ (৬০), গৌর ঘোষ (৩৩), অলোক ঘোষ (২৯) এর উপর দেশীয় অস্ত্র রাম দা, ছ্যান দা নিয়ে অতর্কিত হামলা করে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। হামলা শেষে উল্লেখিত সন্ত্রাসীরা ঘরবাড়ি ভেঙ্গে উত্তম ঘোষের দোকানে মালামাল কেনা বাবদ নগত ৬০ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে চলে যায়।
সরেজমিনে গেলে জানা যায়, গুরুতর আহত উত্তম ঘোষের স্ত্রী বাশন্তি রানী জানান, রথখোলা নদীর পারে ২.৫০ শতাংশ যায়গা বিকু নাথ ও কেষ্ট নাথ এর নিকট হতে দলিল মূলে আমরা ক্রয় করি। কিন্তু দীর্ঘ দিন যাবত আশন্ত কুমার সাহা গংরা অন্যায় ভাবে জোর দখল করার চেষ্টা করে আসছে। এ নিয়ে একাধিকবার এলাকা ভিত্তিক এবং থানা পুলিশের মাধ্যমে সালিশ হলে যায়গাটি আমরাই দখল পাই। কিন্তু উল্লেখিত বিবাদিগন দীর্ঘ দিন যাবত এলাকায় মাদক ব্যাবসার সাথে জরিত থেকে কালো টাকার পাহাড় জমিয়ে অন্য এলাকা থেকে সন্ত্রাসী ভাড়া করে এনে বারবার আমাদের উপর হামলা চালায়। উল্লেখ্য আহত উত্তম ঘোষ ফরিদপুর শহর স্বেচ্ছাসেবকলীগের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক। উল্লেখিত ঘটনায় কথা শহর স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এটিএম জামিল তুহিনের সাথে। তিনি জানান, যায়গা জমির বিষয় নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দু পক্ষের মধ্যে ঝামেলা চলছিল। কিছুদিন আগে ফরিদপুর পিবিআই তে অভিযোগ হলে বিষয়টি পিবিআই পুলিশ কর্মকর্তা এবং আমরা সবাই মিলে একটা সালিশে বসলে কাগজ পত্র পর্যালোচনা করে উত্তম ঘোষের পক্ষেই রায় হয়। প্রতিপক্ষ আশন্ত কুমার সাহা গং রা যে হামলা চালিয়েছে তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
এ ব্যাপারে আহতের পরিবার কোতয়ালী থানায় ফোন করলে তাৎক্ষনিক কোতয়ালী থানা পুলিশ কর্মকর্তাগন ফরিদপুর ৫০০ বেড হাসপাতালে গিয়ে আহতদের খোজখবর নেন এবং প্রতিপক্ষের হামলায় আহতের ব্যাপারটি নিশ্চিত হন। এ ব্যাপারে কোতয়ালী থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে আহতের পরিবার জানান। এ ঘটনায় সঠিক তদন্ত পূর্বক আসামীদের গ্রেপ্তার পূর্বর্ক আইনের আইনের আওতায় এনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট শাস্তির দাবি জানিয়েছেন গুরতর আহত উত্তম ঘোষের স্ত্রী বাশন্তি রাণীসহ এলাকাবাসি। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত আশন্ত কুমার সাহার বাড়িতে গেলে তাদের কাউকে পাওয়া যায়নি।