চীনে করোনাভাইরাস সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়ে গেছে বলে মনে করছেন অনেকে। সাম্প্রতিক ঘটনাগুলো থেকে তেমনটাই আশঙ্কা করা হচ্ছে।
স্থানীয়ভাবে সংক্রমণ ফের ছড়িয়ে পড়ায় বন্ধ করে দেয়া হয়েছে বেইজিংয়ের দুটি প্রধান পাইকারি বাজার। কিছু এলাকায় জারি করা হয়েছে যুদ্ধকালীন সতর্কতা।
এছাড়া স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত থেকেও পিছিয়ে এসেছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। আর এসবই করা হয়েছে চীনের রাজধানী শহরটিতে নতুন করে করোনা সংক্রমণ শুরু হওয়ায়।
বৃহস্পতিবার টানা ৫৫ দিন পর প্রথমবারের মতো নতুন রোগী শনাক্ত হয় বেইজিংয়ে। এর পরের দিনই পাওয়া যায় আরও দু’জন।
শুক্রবারের দুই রোগী ফেংতাই জেলার বাসিন্দা। তারা বেইজিংয়ের একটি মাংস গবেষণা কেন্দ্রে কাজ করেন। ফেংতাইয়ের দুই রোগী কীভাবে করোনায় আক্রান্ত হলেন তা এখনও নিশ্চিত নয়।
দু’জন জানিয়েছেন, তারা সম্প্রতি বিদেশফেরত কারও সঙ্গে দেখাও করেননি।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, নতুন শনাক্ত করোনা রোগীদের কয়েকজন সম্প্রতি বেইজিংয়ের শিনফাদি পাইকারি বাজারে গিয়েছিলেন জানার পরপরই সেটি লকডাউন করে দেয় প্রশাসন। একই কারণে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে জিংশেন সি-ফুড মার্কেটও।
বাংলাদেশ সময় শনিবার রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত ওয়ার্ল্ডওমিটারসের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৭৭ লাখ ৭৫ হাজার ৬৬১ জন। মারা গেছেন ৪ লাখ ২৮ হাজার ৯৭০ জন। অবস্থা আশঙ্কাজনক ৫৩ হাজার ৯৬৪ জনের। সুস্থ হয়েছেন ৩৯ লাখ ৮৭ হাজার ৩৪৪ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৪২ হাজার ৯৭৩ জন। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। দেশটিতে আক্রান্ত হয়েছেন ২৭ হাজারের বেশি।
এরপর ব্রাজিলে ২৪ হাজার, ভারতে ১১ হাজার, রাশিয়ায় ৮ হাজার এবং চিলি ও পাকিস্তানে ৬ হাজার করে নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে। বিশ্বে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ৪ হাজার ৬০৩ জন।