বাগেরহাট প্রতিনিধি:বাগেরহাট জেলার সরকারী ৩০৮টি খালের অধিকাংশই প্রভাবশালীদের দখলে। বারবার প্রশাসনের কাছে দখলমুক্ত করার আবেদন করলেও সেগুলো কোন এক অলৌকিক ক্ষমতায় দখলমুক্ত হয় না। কিছু কিছু দখলমুক্ত হলেও সেগুলো দুই,চারদিন পর আবার পুনরায় দখল হয়। বৃহস্পতিবার সকালে বাগেরহাট জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ্যাক্টিভিস্টা বাগেরহাটের আয়োজনে, বাধঁন মানব উন্নয়ন সংস্থা ও একশন এইড বাংলাদেশ এর সহযোগিতায় সরকারী কর্মকর্তাদের সাথে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় অভিযোজন কৌশল নিরুপন শীর্ষক সংলাপে বক্তারা এবাবেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন ।
ইয়ুথ ক্লাইমেট এ্যাকশন নেটওয়ার্ক এর আহবায়ক সাংবাদিক বাবুল সরদার এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংলাপে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মো: আজিজুর রহমান। এ সময় অন্যন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাগেরহাট সদর উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রিজিয়া পারভিন বাগেরহাট প্রেস ক্লাবের সভাপতি নিহার রঞ্জন সাহা, বাঁধন মানব উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক মঞ্জুরুল হাসান মিলন, পানি উন্নয়ন বোর্ড এর সহকারী প্রকৌশলী মো: মোশারেফ হোসেন, দিপ্ত টেলিভিশনের বাগেরহাট প্রতিনিধি মামুন আহমেদ, সমকাল এর জেলা প্রতিনিধি তানজিম আহমেদ, বাঁধন এফোরটি প্রকল্পের প্রকল্প সমন্বয়কারী মুশফিকুল ইসলাম রিতু, প্রজেক্ট অফিসার সানি জোবায়ের এছাড়া বাঁধন মানব উন্নয়ন সংস্থার বিভিন্ন ইয়ুথ গ্রপের সদস্যবৃন্দ, সুশিল সমাজের প্রতিনিধিবৃন্দ, সাংবাদিকসহ অন্যন্যরা উপস্থিত ছিলেন।সভায় বক্তারা বলেন, বাগেরহাটে বিভিন্ন সরকারী খাল কিছু অসাধু গোষ্টী দখল ও বাঁধের মাধ্যমে পানির স্বাভাবিক প্রবাহ ব্যাহত করছে। এছাড়া জলবায়ু পরিবর্তন জনিত কারনে উপকূলীয় অঞ্চলে তথা বাগেরহাটে লবন পানি প্রবেশের মাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে প্রান্তিক পর্যায়ের চাষিরা চাষাবাদের ক্ষেত্রে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।পাশাপাশি মানুষসৃষ্ট কারনে সরকারী খালগুলোতে বাঁধ দিয়ে লবন পানির স্বাভাবিক প্রবাহ ব্যাহত করে প্রান্তিক চাষিদের জীবন জীবিকা হুমকির মুখে ফেলে দিচ্ছে।সরকার বিভিন্ন সময় খালগুলো অবমুক্ত এবং পুন:খনন করলেও তা আবার দখল হয়ে যাচ্ছে। ফলে প্রান্তিক চাষিরাদের জীবিকা নিরাপত্তা হারাচ্ছে। সকলে সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে এর সমাধান হবে বলে সংলাপে সবাই মত দেন।
পরে বাগেরহাটে দখলকৃত বিভিন্ন খালের তালিকা এবং এগুলো দখলমুক্ত করার জন্য জেলা
প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপী প্রদান করা হয়।