
আবু তালহা,সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিঃ সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে বিক্রি করা জমি নাটোর সিংড়ার খরজগাড়ী দরবার শরীফ, জৌনপুর খরজগাড়ী শাহ কারামাতিয়া দরবার শরীফ কমপ্লেক্স ও বগুড়া শেরপুর শেওলাগাড়ী দরবার শরীফের প্রতিষ্ঠাতা পীরে কামেল শাহ্ সূফী মুফতী হযরত মাওঃ সাইয়্যেদ মোহাম্মদ আখলাকুল ইসলাম খলিফায়ে জৌনপুরীর নামে হেবা ঘোষণা পত্র দলিল করে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
প্রাপ্ত অভিযোগে জানা গেছে, উপজেলার বেয়াড়া-নান্দিনা মৌজা জে. এল নং ২৩ আর এস খতিয়ান নং ৯৯৬, ৯৯৭, ৯৯৮, ৯৯৯, ১০০০ খতিয়ানের উপজেলার নান্দিনা কামালিয়া গ্রামের সিহাব উদ্দিনের সকল জায়গা একই গ্রামের শহিদুল ইসলাম ভুইয়ার কাছে বিক্রি করে। কিন্তু দীর্ঘদিন পরে সেই জায়গা গুলোই সিহাব উদ্দিনের ছেলে পীরে কামেল আখলাকুল ইসলামের নামে হেবা ঘোষণা পত্র দলিল করা হয়েছে।
সেই জমির নামজারী কেস নং ১৮৫০/২০২২-২০২৩ খারিজ করার জন্য আবেদন করেছেন। খারিজ বন্ধ ও প্রতিকার চেয়ে উপজেলা ভুমি কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী পরিবার।
ভুক্তভোগী শহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন, সিহাব উদ্দিন ১৯৮৫ সাল থেকে পর্যায় ক্রমে কয়েক দফায় তার সকল জায়গা আমার কাছে বিক্রয় করেন এবং দলিলও করে দেন। জায়গা কিনে নেওয়ার পর থেকেই ভোগদখল করে খাচ্ছি কিন্তু কিছুদিন আগে অবৈধ ভাবে পীর সাহেব তার বাবার কাছে থেকে হেবা ঘোষণা পত্র দলিল করে নিয়েছেন। আবার খারিজ করার জন্য আবেদন করেছেন। ভুমি কর্মকর্তার কাছে এ ঘটনার সঠিক বিচার চেয়েছি।
বিষয়টি নিয়ে পীরে কামেল আখলাকুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, জায়গার সমস্যার বিষয়ে তাদের কে বেশ কয়েক বার ডাকা হলেই তারা সমাধান করেনি। আমার বাবার নামের রেকর্ড সম্পত্তি আমাকে লিখে দিয়েছে কিন্তু তারা যেটুকু জায়গা পাবে তাদের দিয়ে দিব। জায়গায় সমস্যা নিয়ে এসিল্যান্ড আমাকে ডেকেছিল তারাই বিষয়টির সমাধান করবে।
এবিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুমা খাতুন জানিয়েছেন, অভিযোগ করে থাকলে অভিযোগের শুনানি হবে তার পর সঠিক ব্যবস্থা নিব।