স্ত্রীর বদলি নিয়ে ক্ষোভের জেরে বরগুনা সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে অপহরণ করে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় বরগুনা সদর উপজেলা শ্রমিকলীগের সাবেক সভাপতি শহিদুল ইসলাম পলাশকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার রাতে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে তার বিরুদ্ধে বরগুনা সদর থানায় মামলা করেন বরগুনা সদর উপজেলার ভারপ্রাপ্ত প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আরিফুজ্জামান।
প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আরিফুজ্জামান বলেন, এখন শিক্ষা অফিসের সব কার্যক্রম অনলাইনে হয়ে থাকে। কিন্তু পলাশের স্ত্রী প্রাক-প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ইশরাত জাহান সুরভির অনলাইনে বদলীর আবেদনে ত্রুটি থাকায় তার বদলী হয়নি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বুধবার রাতে পলাশসহ ৩ জন বাজার সড়ক থেকে আমাকে মটরসাইকেল থেকে নামিয়ে জোরপূর্বক একটি ঘরে মধ্যে নিয়ে আটক করে নির্যাতন করে। একপর্যায় পকেটে থাকা টাকা ছিনতাই করে সাদা স্টাম্পে সাক্ষর রাখে।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনা কাউকে বললে আমার বসতঘর পুড়িয়ে দেওয়াসহ হত্যার হুমকি দিয়ে ওই রাতেই আমাকে ছেড়ে দেয়া হয়। পরে বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসক জানতে পেরে থানায় মামলা করা হয়। আমি ও আমার পরিবার নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত।
বরগুনা থানার ওসি আলী আহম্মদ বলেন, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে অপহরণ ও নির্যাতনের অভিযোগে পলাশ নামের একজনকে শুক্রবার সন্ধ্যায় গ্রেফতার করা হয়েছে।
এ ব্যপারে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক বলেন, এর আগে ওই ব্যক্তি আমার অফিসে এসেও জবরদস্তি করার চেষ্টা করেন। এখন আইন অনুযায়ী বিষয়টি সমাধান হবে।
এ বিষয়ে বরগুনা জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি আব্বাস হোসেন মন্টু বলেন, পলাশ শ্রমিক লীগের কেউ নয়। তার সঙ্গে সংগঠনের কোনো সম্পর্ক নেই।