আজিজুর রহমান দুলালঃ ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা আগামী ২৯ ডিসেম্বর পৌরসভার এবং তিন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষ হয়েছে। এতে দুজন মেয়র প্রার্থী, তিনজন সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থী ও একজন সংরক্ষিত নারী সদস্য প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।
শনিবার সকাল ১০টায় উপজেলা পরিষদ হলরুমে যাচাই-বাছাই চলে দুপুর ২টা পর্যন্ত।
যাচাই-বাছাই শেষে আলফাডাঙ্গা পৌরসভায় মেয়র পদে ৩ জন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৩১ জন ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ১০ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। অপরদিকে তিনটি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ১৫ জন, সাধারণ সদস্য পদে ৯৯ জন ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ৩৫ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রফিকুল হক, সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও আলফাডাঙ্গা পৌরসভা নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মাদ হাবিবুর রহমান, উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শামীম আহমাদ, মধুখালী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও আলফাডাঙ্গা তিন ইউপি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মনজুরুল আলম, আলফাডাঙ্গা থানা অফিসার ইনচার্জ মো. আবু তাহের প্রমুখ।
মেয়র প্রার্থীর মধ্যে মো. মাহাবুব হোসেন ও এস এম হাবিবুর রহমানের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া আলফাডাঙ্গা পৌরসভার সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১নং ওয়ার্ডের সৈয়দ মিজানুর, ২নং ওয়ার্ডের আবু হাসান মিয়া ও ৯নং ওয়ার্ডের শাহাজাহান তালুকদারের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে।
অপরদিকে আলফাডাঙ্গা সদর, গোপালপুর ও বুড়াইচ ইউনিয়নের তিনটি পদের মধ্যে শুধুমাত্র গোপালপুর ইউনিয়নের সংরক্ষিত ২নং ওয়ার্ডের নারী সদস্য পদপ্রার্থী রাবেয়া বেগমের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) মনোনয়ন দাখিলের শেষ দিন পর্যন্ত আলফাডাঙ্গা পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে ৫ জন, সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ১০ জন ও সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৩৪ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
অপরদিকে তিনটি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ১৫ জন, সাধারণ সদস্য পদে ৯৯ জন ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ৩৬ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাচন অফিসার শামীম আহমাদ জানান, বাতিল হওয়া মেয়র, সাধারণ কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে প্রার্থীরা আগামী তিন দিনের মধ্যে আপিল করতে পারবেন। আপিল নিষ্পত্তির পর বৈধ প্রার্থীরা ১০ ডিসেম্বর প্রার্থিতা প্রত্যাহার করতে পারবেন। এরপর ১১ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে। ২৯ ডিসেম্বর পৌরসভা ও এসব ইউনিয়নে ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।