ই-গেইট চালুর পর চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যুক্ত হয়েছে নতুন মাত্রা। ম্যানুয়াল পদ্ধতির ঝামেলা না থাকায় মাত্র ১৮ সেকেন্ডে ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করতে পারছেন যাত্রীরা। ফলে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়ানোর ভোগান্তি না থাকায় ই-পাসপোর্ট ব্যবহার করে সহজে ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করতে পেরে খুশি তারা।
বিমানবন্দর সূত্রে জানা গেছে, জার্মানির সাথে জিটুজি চুক্তির আওতায় বাংলাদেশে শুরু হয় ই-পাসপোর্ট সুবিধা৷ একই প্রকল্পের অংশ হিসেবে এবার ৬টি ই-গেইট বসানো হয়েছে চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। এতে যাত্রী ভোগান্তী লাঘবের পাশাপাশি কমেছে সময়ের অপচয়।
ই-গেট ব্যবহারের পদ্ধতিতে বলা হয়েছে, প্রথম ধাপে প্রবেশপথে নিজের ছবি, তথ্য ও বারকোডযুক্ত ই-পাসপোর্টের প্রথম পৃষ্ঠা স্ক্যান করলে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে যাত্রীর সব তথ্য যাচাই শেষে খুলে যাবে প্রথম গেইট। এরপর দ্বিতীয় ধাপে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ক্যামেরাযুক্ত ফেসিয়াল রিকগনিশনের মাধ্যমে পাসপোর্টের ছবির সঙ্গে যাত্রীর মুখমণ্ডল মিললে খুলে যাবে দ্বিতীয় গেইট। সার্ভার এবং সিষ্টেম ঠিক থাকলে মাত্র ১৮ সেকেন্ডেই শেষ হবে একজন যাত্রীর ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া৷
পাসপোর্ট অধিদফতরের সিস্টেম এনালিস্ট নজরুল ইসলাম বলেন, ই-পাসপোর্টের পর আমাদের ইমিগ্রশন সিস্টেমে এবার চালু হলো ই-গেইট। এখন থেকে উন্নত দেশের মতো মাত্র ১৮-২০ সেকেন্ডের মধ্যেই ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করতে পারবেন যাত্রীরা।
যাত্রীরা জানিয়েছেন, ই-সেবা চালুর কারণে আগের মতো দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার ঝামেলা নেই। দ্রুত সময়ের মধ্যে ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারছেন তারা।
চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দরের পরিচালক উইং কমান্ডার তাসলিম বলেন, সুষ্ঠুভাবে এটা সম্পন্ন করতে পারলে আমাদের দেশের যাত্রীদের পাশাপাশি বিদেশী যাত্রীরাও এই সুবিধা পাবে। ফলে, তারা উন্নত দেশের ইমিগ্রেশন ব্যবস্থার সাথে আমাদের তুলনা করলে আমরাও আন্তর্জাতিক একটা লেভেলে যেতে পারবো।
প্রসঙ্গত, ঢাকা ও চট্টগ্রামের পর একই প্রকল্পের আওতায় আগামী মাসে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ৬টি ই-গেট চালুর কথা রয়েছে।