প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে বিপর্যস্ত গোটা বিশ্ব। এই ভাইরাসের বিষাক্ত ছোবলে ইতোমধ্যে বিশ্বের ২১৩টি দেশ ও অঞ্চল আক্রান্ত হয়েছে। এখন পর্যন্ত (বুধবার সকাল সাড়ে ১০টা) বিশ্বব্যাপী ভাইরাসটিতে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭৩ লাখ ২৩ হাজার ৭৬১ জন। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৪ লাখ ১৩ হাজার ৭৩১ জনের।
করোনা ভাইরাসের এই ধ্বংসযজ্ঞের মাঝে প্রকাশ্যে এক ধরনের চাঞ্চল্যকর তথ্য।
রক্তের গ্রুপভেদে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের হার কম-বেশি হয় বলে প্রাথমিকভাবে প্রমাণ পাওয়ার দাবি করেছেন বিজ্ঞানীরা। বিষয়টি নিয়ে সেই মার্চ থেকে আলোচনা চলছিল।
জেনেটিং টেস্টিং কোম্পানি ২৩অ্যান্ডমি’র গবেষকেরা ৭ লাখ ৫০ হাজার মানুষকে নিয়ে গবেষণা করে জানিয়েছেন, ‘ও’ গ্রুপ রক্তের মানুষেরা অন্যদের তুলনায় ১৮ শতাংশ কম হারে করোনায় শনাক্ত হচ্ছেন।
পাশাপাশি এই গ্রুপের যেসব মানুষ করোনা রোগীর সংস্পর্শে এসেছেন, তারা অন্য গ্রুপের থেকে ২৬ শতাংশ কম হারে পজিটিভ হয়েছেন।
গবেষক দলটি বলছে, যে জিন নতুন ভাইরাসটি এবং রক্তের গ্রুপের প্রকার নির্ধারণে ভূমিকা রাখে তার সঙ্গে কোনও যোগসূত্র থাকতে পারে।
ও গ্রুপের রক্তধারী যেসব চিকিৎসকেরা করোনা রোগীর সেবা করেছেন, তারা অন্য গ্রুপের ডাক্তারদের তুলনায় ১৩ থেকে ২৬ শতাংশ কম হারে আক্রান্ত হয়েছেন।
ডেইলি মেইল জানিয়েছে, গবেষণাটির এই ফলাফল স্বাধীনভাবে এখনো বিশ্লেষণ কিংবা কোনো মেডিকেল জার্নালে প্রকাশিত হয়নি।
গবেষকেরা জানিয়েছেন, রক্তের গ্রুপ আলাদা হওয়ার জন্য যে এবিও জিন ভূমিকা রাখে তার একটি ভ্যারিয়ান্ট শনাক্ত করা হয়েছে, যা করোনা সংক্রমণর কম ঝুঁকির কারণ।
গবেষকেরা জানিয়েছেন, রক্তের গ্রুপ আলাদা হওয়ার জন্য যে এবিও জিন ভূমিকা রাখে তার একটি ভ্যারিয়ান্ট শনাক্ত করা হয়েছে, যা করোনা সংক্রমণর কম ঝুঁকির কারণ।
২৩অ্যান্ডমি বিবৃতিতে বলেছে, ‘গবেষণা এখনো চলছে। আশা করছি আমাদের গবেষণার মাধ্যমে সংক্রমণের পার্থক্য ভালোভাবে বুঝতে পারব। ’
এর আগে চীনের বিজ্ঞানীরা জানান, যেসব মানুষ কোভিড-১৯ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন তাদের মধ্যে ২৫ শতাংশ ‘ও’ গ্রুপের। সেখানে ‘এ’ গ্রুপের ৪১ শতাংশ।
পৃথিবীতে ‘ও’ গ্রুপ রক্তের মানুষের সংখ্যা বেশি, ৩৪ শতাংশ। ‘এ’ গ্রুপ ৩২ শতাংশ।
সূত্র: ফিন্যান্সিয়াল টাইমস, টেকনোলজি নেটওয়ার্কস