হেফাজতে ইসলামি বাংলাদেশ এর আমির আল্লামা আহমদ শফীর শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তিনি কথা বলতে পারছেন। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এস.এম. হুমায়ুন কবির মঙ্গলবার (৯ জুন) রাতে এ তথ্য জানিয়েছেন। শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা নিয়ে এ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন আহমদ শফী।
বাংলা ট্রিবিউনকে চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এস.এম. হুমায়ুন কবির বলেন,‘হেফাজত আমির আল্লামা শফীর শারীরিক অবস্থা আগের থেকে অনেক ভালো। আজ দুপুরের পর থেকে তিনি কথা বলছেন। তিনি এখন আশঙ্কামুক্ত। আশা করছি, কয়েকদিনের মধ্যে তিনি সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ত্যাগ করতে পারবেন।’
এর আগে আল্লামা শফীর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে রবিবার (৭ জুন) রাত ৮টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে তাকে ভর্তি করা হয়।
এরপর সোমবার (৮ জুন) দুপুরে হেফাজত আমিরের শারীরিক অবস্থা পর্যালোচনার জন্য মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়। এ বোর্ডের তত্ত্বাবধানে তার চিকিৎসা চলছে।
এ সম্পর্কে জানতে হেফাজত আমির এর ছেলে হেফাজত ইসলামের প্রচার সম্পাদক আনাস মাদানীর মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলে তিনি মোবাইল রিসিভ করেন নি। তবে হাসপাতালের পরিচালক জানিয়েছেন, হেফাজত আমির এর ছেলেরা তার বাবার সঙ্গে হাসপাতলেই আছেন, তিনি ছেলেদের সঙ্গে কথাবার্তা বলছেন।
প্রসঙ্গত, শতবর্ষী প্রবীণ আলেম আল্লামা আহমদ শফী দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত দুর্বলতার পাশাপাশি ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ও শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন। শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে হেফাজত আমিরকে গত এক বছরে বেশ কয়েক বার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর আগে গত ১১ এপ্রিল বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে বমি, মাথাব্যথার পাশাপাশি শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়ায় হেফাজত আমিরকে চট্টগ্রামের প্রবর্তক মোড়ের সিএসসিআর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে ১৪ এপ্রিল দুপুর ১টায় চট্টগ্রামের এমএ আজিজ স্টেডিয়াম থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স যোগে তাকে ঢাকা নিয়ে যাওয়া হয়। পরে করোনা পরীক্ষা করানো হলে রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। পরে গত ২৬ মে হেফাজত আমিরকে চট্টগ্রাম নিয়ে আসা হয়। আবারও ৭ জুন এ হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি।