নেপালের রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভান্ডারী জানিয়েছেন, তার দেশ এই মুহূর্তে বাংলাদেশকে ৪০ থেকে ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করবে। নেপালে বিদ্যুতের একটি মেগা প্রকল্প শেষ হওয়ার পর এর পরিমাণ আরও বাড়বে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) সকালে গণভবনে সাক্ষাৎকালে নেপালের রাষ্ট্রদূত এ কথা জানান।
সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের জানান, নেপালের রাষ্ট্রদূত জানিয়েছেন তার দেশে প্রকল্পটি সম্পন্ন হওয়ার পর নেপাল বাংলাদেশকে আরও বেশি বিদ্যুৎ দিতে সক্ষম হবে।
ঘনশ্যাম ভান্ডারী বাংলাদেশের বাংলাবান্ধা বন্দরকে তাদের রফতানির উদ্দেশ্যে ব্যবহার করতে নেপালের গভীর আগ্রহের কথাও জানান। এই বন্দরটি বুড়িমারী বন্দরের চেয়ে নেপালের কাছাকাছি।
নেপাল বাংলাদেশকে বিশেষ দৃষ্টিতে দেখে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তার দেশ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা আরও জোরদার করতে চায়।
শিক্ষা খাতে বাংলাদেশের সহযোগিতার প্রশংসা করে নেপালের রাষ্ট্রদূত বলেন, অনেক নেপালি শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষার জন্য এখানে পড়াশোনা করছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূতকে অভিনন্দন জানান এবং বাংলাদেশে এই দায়িত্ব পালনকালে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেন। তিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় মুক্তিযোদ্ধাদের অস্ত্র ও গোলাবারুদ দিয়ে নেপালের সহায়তার কথা স্মরণ করেন।এটি বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি এ অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে বিশেষ করে বাংলাদেশ, নেপাল, ভুটান ও ভারতের মধ্যে কানেকটিভিটির ওপর জোর দেন। বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য জোরদারের ওপরও গুরুত্বারোপ করেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা ‘মুজিববর্ষ’ কর্মসূচিতে নেপালের রাষ্ট্রপতির বাংলাদেশে সফরের কথা স্মরণ করেন যা দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের গতি বাড়িয়েছিল। তিনি নেপালের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীকেও শুভেচ্ছা জানান।
এ সময় অ্যাম্বাসেডর অ্যাট লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস উপস্থিত ছিলেন। সূত্র: বাসস।