বাংলাদেশের যেকোনো সুসংবাদ সৌদি আরবের জন্য আনন্দের বলে জানিয়েছেন দেশটির যোগাযোগ ও লজিস্টিকস সার্ভিসেস বিষয়ক মন্ত্রী প্রকৌশলী সালেহ নাসের আলজাসের।
আজ শুক্রবার রিয়াদে নিজ কার্যালয়ে বাংলাদেশের নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে তিনি এ কথা জানান।
বাংলাদেশের নৌপরিবহন খাতে পারস্পরিক সহায়তা এবং সৌদি আরব থেকে এ খাতে বিনিয়োগ বিষয়ে উচ্চ পর্যায়ের এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে সৌদি যোগাযোগমন্ত্রী ২ দেশের মধ্যে ৫ দশক ধরে বিদ্যমান অত্যন্ত সুসম্পর্কের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘এ সুসম্পর্ককে অনন্য মাত্রায় নিয়ে যাওয়ার মাধ্যম হলো বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়ানো।’
সৌদি আরবের ভিশন-২০৩০ এর কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ভিশন-২০৩০ এর আওতায় এদেশের পরিবহন সেক্টরের কর্মকৌশল নির্ধারণ করা হয়েছে এবং সে কর্মকৌশলের আলোকে সেদেশের যোগাযোগ খাতে কাজ হচ্ছে।’
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী তার বক্তব্যের শুরুতেই সৌদি যোগাযোগ মন্ত্রীর কাছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শুভেচ্ছা পৌঁছে দেন। গত নভেম্বরে সৌদি যোগাযোগ মন্ত্রীর নেতৃত্বে উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধিদলের বাংলাদেশ সফরের কথা প্রতিমন্ত্রী উল্লেখ করেন। তিনি বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দরের পতেঙ্গা টার্মিনাল, পায়রা সমুদ্র বন্দর ও অন্যান্য খাতে বিনিয়োগে সৌদি আরবের সহযোগিতা চান।
বাংলাদেশে এসব খাতে বিনিয়োগের বিষয়টি যৌথভাবে কাজ করার আশ্বাসের মাধ্যমে বৈঠক সমাপ্ত হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশের প্রতিনিধিদলে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী, চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম শাহজাহান, সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী ও নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ আবরাউল হাছান মজুমদার এবং সৌদি আরবের প্রতিনিধিদলে যোগাযোগমন্ত্রী, যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী ড. মনসুর আল তার্কি, সৌদি বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্ট ওমর হাইদি, সৌদি পাবলিক ইনভেস্টমেন্টের বকর আল মোহাম্মদ ও সৌদি আরবের রেড সি গেটওয়ে টার্মিনালের পরিচালনা পর্ষদের ভাইস চেয়ারম্যান আমের এ আলী রেজা উপস্থিত ছিলেন।