সমাবেশ ঠেকাতে বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে তল্লাশি এবং সমাবেশস্থলে আসতে বাধা দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) নগরের নাসিমন ভবন দলীয় কার্যালয়ে সমাবেশ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন তিনি।
তিনি বলেন, বুধবার আওয়ামী সন্ত্রাসী বাহিনী নগরের বিভিন্ন প্রবেশদ্বারে আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালায়। অনেক জায়গায় গাড়ি বন্ধ করে দেওয়া হয়। শুধু তাই নয়, আগের দিন রাতে বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে বিএনপির অনেক নেতাকর্মীকে। এছাড়াও অনেক নেতা-কর্মীর অফিস ভাঙচুর করে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা। সমাবেশ বাধাগ্রস্ত করতে যা যা করার সবই করেছে তারা। তারপরও সমাবেশ পরিণত হয় জনসমুদ্রে। এতেই বুঝা যায়, জনগণ যদি কোনো সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে কোনো শক্তিই বাধাগ্রস্ত করতে পারে না।
তিনি বলেন, ‘পুলিশ নাকি বিএনপির নেতা-কর্মীদের তালিকা করছে। অতি উৎসাহী কিছু পুলিশের সদস্য ও আওয়ামী সন্ত্রাসীদের তালিকা আপনারা তৈরি করেন। ’
কর্মীদের সহিংস আন্দোলনে না যাওয়ার অনুরোধ জানিয়ে আমির খসরু বলেন, আমরা কোনো সময় সহিংস রাজনীতিতে যাবো না। এ ফাঁদে পা দেওয়া যাবে না। তারা দেশকে সহিংসতার দিকে ঠেলে দিতে চাচ্ছে, আমরা দেশকে গণতন্ত্রের দিকে নিয়ে যেতে চাচ্ছি। আমরা গণতন্ত্রের দিকে থাকবো। জয় হবে গণতন্ত্রের।
বিএনপির সমাবেশে কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য হুম্মাম কাদেরের দেওয়া স্লোগানের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটি হুম্মাম কাদেরের নিজস্ব ও একান্ত বক্তব্য। এটা বিএনপির রাজনীতির অংশ নয়। হুম্মাম কাদেরের বক্তব্যের সঙ্গে বিএনপির কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
এসময় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, স্বৈরাচার এত বেড়েছে যে, গণতন্ত্রের অধিকার প্রতিষ্ঠায় বাধা পেরিয়ে নেতাকর্মীরা সমাবেশস্থলে উপস্থিত হয়েছেন। সত্যিকার অর্থে এটি প্রেরণাদায়ক। এই শৃঙ্খল ভাঙতে গিয়ে অনেক নেতাকর্মী আহত, পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন। অনেকে জীবন বিপন্ন করে এই সমাবেশকে সাফল্যমণ্ডিত করেছেন।
সমাবেশকে কেন্দ্র করে ৫০ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানান মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা.শাহাদাত হোসেন। এছাড়া বিভিন্ন এলাকায় পুলিশ ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের হামলায় শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও বিভাগীয় সমাবেশের সমন্বয়কারী মাহবুবের রহমান শামীমের পরিচালনায় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দীন, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাসেম বক্কর, সাবেক মন্ত্রী জাফরুল ইসলাম চৌধুরী, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান, কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য ব্যারিস্টার মীর হেলাল উদ্দীন প্রমুখ।