শাহ সুমন (বানিয়াচং) প্রতিনিধিঃ হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলায় শত্রুতাবশত একটি বিলে বিষ প্রয়োগ করায় তিন লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে লীজগ্রহীতা দুলাল মিয়া অভিযোগ করেছেন। ঘটনাটি ঘটনো হয়েছে ৯ অক্টোবর রবিবার সন্ধ্যায় বানিয়াচং উপজেলার ৩ নম্বর দক্ষিন-পূর্ব ইউনিয়নের বগলাডুলি জাবর নামক বিলে। প্রতিযোগিতার মাধ্যমে(ডাক নিলামে) প্রায় ৩ মাস পূর্বে নন্দীপাড়া পঞ্চায়েত কমিটির নিকট থেকে বিলটি সর্বোচ্চ দরে পাওয়ার পর পরই বিলের লীজগ্রহীতা দুলাল মিয়াকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন প্রতিযোগিতায় হেরে যাওয়া একটি পক্ষ। ওই সময় কোন ক্ষতি সাধন না করলেও বর্তমানে বিলে মাছের প্রাচুর্য ও বিনিয়োগের পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ায় বিষ প্রয়োগ করে ক্ষতি সাধন করতে চাচ্ছেন অভিযুক্ত শাহজাহান মিয়া।
অভিযুক্ত শাহজাহান মিয়া বিষ প্রয়োগ করার বিষয়টি সরদারদের নিকট স্বীকার করেছেন। এ ব্যাপারে ভূক্তভোগী দুলাল মিয়া ইউপি চেয়ারম্যান ও নেতৃত্বস্থানীয়দের কাছে বিচার দাবি করলে স্থানীয় সরদারের মাধ্যমে বিষয়টি নিস্পত্তি করার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়। পরবর্তীতে স্থানীয় সরদার আজিজুর রহমান ও নোমান মিয়ার মাধ্যমে শালিসে বসলেও বিষযটির নিস্পত্তি তারা করতে পারেন নাই। এ ব্যাপারে লীজগ্রহীতা দুলাল মিয়া জানান, তিন মাস পূর্বে বিলটি ডাক নিলামে হেরে গিয়ে ময়না মিয়া নামের একজন দুলাল মিয়ার বিলের পার্টনার আনোয়ার মিয়াকে(ভোলাগঞ্জ পাথর কোয়ারিতে নিঃস্ব করে পাঠানোর হুমকি) দেখে নেওয়ার হুমকি প্রদান করেন। বিলটিতে শাহজাহান নামের যে ব্যাক্তি বিষ ঢেলেছেন সে ময়না মিয়ার পালিত ভাই। আমি তিন লক্ষ টাকার ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছি। আমি আইনের মাধ্যমে এর বিচার চাই।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত শাহজাহান মিয়ার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এ ব্যাপারে সরদার নোমান মিয়া বলেন, শাহজাহান মিয়া বিষ ঢালার কথা শালিসের লোকজনের নিকট স্বীকার করেছে। তবে দুলাল মিয়া সহযোগিতা না করায় আমরা বিষয়টি নিস্পত্তি করতে পারি নাই। এ ব্যাপারে বানিয়াচং সিনিয়র উপজেলা মৎস্য অফিসার নূরুল একরাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমার কাছে ক্ষতিগ্রস্থ বিলের লীজগ্রহীতা এসেছিলেন। আমি তাকে আইনানুগ ব্যাবস্থা নেওয়ার জন্য পরামর্শ দিয়েছি।