ঢাকাসহ দেশের বিভাগীয় শহরে গণসমাবেশের ডাক দিয়েছে বিএনপি। বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কর্মসূচি ঘোষণা করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) রাতে অনুষ্ঠিত দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে নেওয়া সব সিদ্ধান্ত জানাতে আজকের এই সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি।
নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি, চলমান আন্দোলনে ভোলা, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ ও যশোরে নেতা-কর্মী হত্যার প্রতিবাদ এবং দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে এসব সমাবেশ ডেকেছে বিএনপি। পাশাপাশি আগামী ৬ অক্টোবর দেশের সব মহানগর ও ১০ অক্টোবর সব জেলা পর্যায়ে শোক র্যালি করবে দলটি।
মির্জা ফখরুল জানান, ভোলায় আব্দুর রহিম ও নূরে আলম, নারায়ণগঞ্জে শাওন, মুন্সিগঞ্জে শহিদুল ইসলাম শাওন ও যশোরে আব্দুল আলিমের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর জন্য আগামী ৬ অক্টোবর দেশের সব মহানগর পর্যায়ে এবং ১০ অক্টোবর সব জেলা পর্যায়ে শোক র্যালি অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
তিনি উল্লেখ করেন, বৈঠকে পাঁচ জন হত্যার প্রতিবাদ, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে আগামী ৮ অক্টোবর থেকে সারা দেশে বিভাগীয় গণসমাবেশ অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত হয়। ৮ অক্টোবর চট্টগ্রাম, ১৫ অক্টোবর ময়মনসিংহ, ২২ অক্টোবর খুলনা, ২৯ অক্টোবর রংপুর, ৫ নভেম্বর বরিশাল, ১২ নভেম্বর ফরিদপুর, ১৯ নভেম্বর সিলেট, ২৬ নভেম্বর কুমিল্লা, ৩ ডিসেম্বর রাজশাহী ও ১০ ডিসেম্বর ঢাকা।
স্থায়ী কমিটির বৈঠকে বাংলাদেশের ফুটবলারদের সাফ নারী চ্যম্পিয়নশিপ অর্জন করায় ভূয়সী প্রশংসা করা হয় এবং নারী ফুটবলারদের অভিনন্দর জানানো হয় বলে জানান তিনি।
পঞ্চগড়ের করতোয়া নদীতে নৌকাডুবির বিষয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, এ পর্যন্ত পাওয়া সংবাদ অনুযায়ী শতাধিক মানুষের প্রাণহানি হয়েছে। এ পর্যন্ত ৬৫টি লাশ উদ্ধার হয়েছে, আশঙ্কা রয়েছে আরও ২৫ থেকে ৩০ জন নিখোঁজ রয়েছে। এতে শোক প্রকাশ করেছে বিএনপির স্থায়ী কমিটি। এই ভয়াবহ দুর্ঘটনায় সরকারের সক্রিয় উদ্ধার তৎপরতা না থাকায় সভায় নিন্দা জানানো হয়। অবিলম্বে নিখোঁজ ব্যক্তিদের উদ্ধার এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ প্রদানের দাবি জানানো হয়।
তিনি উল্লেখ করেন, ‘সভা মনে করে, পরিকল্পিতভাবে শেখ হাসিনার সরকার নির্বাচনব্যবস্থা ধ্বংস করে ফেলেছে। ২০১৪ ও ২০১৮-এর জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলোই তার প্রমাণ। এই নির্বাচনগুলোয় ভোটাররা ভোট দিতে পারেননি। সভা মনে করে, দেশে এসে পদত্যাগ করে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করা উচিত।’