প্রবাসী বাংলাদেশীদের রি-ইস্যু ও নতুন পাসপোর্ট প্রাপ্তি সহজীকরণের দাবি জানিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশীদের শীর্ষ সংগঠন এনআরবি সিআইপি এসোসিয়েশনের শীর্ষ নেতারা। বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল আইয়ূব চৌধুরীর সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তারা এ দাবি জানান।
সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, এনআরবি সিআইপি অ্যাসোসিয়েশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট কাজী সারওয়ার হাবীব সিআইপি (জাপান), সহকারী মহাসচিব আব্দুল আজিজ খান (কাতার) সিআইপি, পরিচালক অর্থ (ওমান) প্রকৌশলী আশ্রাফুর রহমান সিআইপি ও নির্বাহী সদস্য আব্দুল আজিজ খান (ওমান) সিআইপি প্রমূখ।
ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) বলেন, আমাকে উনারা যে দাবিগুলির কথা জানিয়েছেন আমি তাদেরকে বলেছি, আপনাদের দাবিগুলো লিখিত আকারে দিলে তা আন্ত:মন্ত্রণালয় সভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও সেবা সুরক্ষা সচিবকে জানাবো। এটি একক কোন সিদ্ধান্ত নয়। অবশ্যই মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে পদক্ষেপ নেয়ার কথা জানান তিনি। অপর এক প্রশ্নের জবাবে মহাপরিচালক বলেন, পাসপোর্ট আবেদনের ফরম পূরণের জন্য যদি সরকারিভাবে নির্দিষ্টহারে অর্থ নির্ধারণ করে এজেন্সি নিয়োগ করা হয়, তাহলে একদিকে যেমন হয়রানি কমবে অন্যদিকে সরকারী রাজস্ব বৃদ্ধি পাবে আশা প্রকাশ করেন।
এদিকে সংগঠনের মহাসচিব মোহাম্মদ ইয়াসিন চৌধুরী প্রবাসী বাংলাদেশীদের পাসপোর্টের যাবতীয় কার্যক্রম দূতাবাসকে দেখার দাবি জানিয়ে বলেন, আমাদের পাসপোর্ট সংক্রান্ত যেকোন বিষয় বাইরের কেউ যেন না দেখেন। আমাদের এই বিষয়টিকে অবশ্যই দূতাবাস দেখবে। করোনাকালীন সময়ে ওমান দূতাবাস আমাদের পাসপোর্টের সব বিষয়ের দায়িত্ব দেয় গালফ্ ওভারসীস এক্সচেঞ্জ ও ওমান এক্সচেঞ্জকে। তারা তাদের ইচ্ছেমতো আমাদের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে। এমনকি আমাদের ব্যক্তিগত তথ্যও তারা জেনে গেছে। যেটি মোটেই কাম্য নয়। এ ব্যাপারে অবশ্যই দূতাবাসকে পদক্ষেপ নিতে হবে।
পাসপোর্ট প্রতি তাদেরকে কত রিয়েল দিতে হয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, করোনাকালীন ৪ রিয়েল যেটা বাংলাদেশী এক হাজার টাকা। আমরা সেটিকে কমিয়ে এখন এক রিয়েলে আনতে সক্ষম হয়েছি। আশা করছি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর যৌথভাবে প্রবাসীদের পাসপোর্ট সহজীকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।