মোহাম্মদ মিলন আকতার, ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি: সারা বছর ঠাকুরগাঁও জেলায় হাস্কিং মিলগুলো বন্ধ থাকলেও মৌসুমে ঠিকই পাচ্ছে গুদামে সরবরাহের সরকারি বরাদ্দ। আর বিষয়টি জেনেও ঠাকুরগাঁও জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয় কর্তৃপক্ষ বন্ধ থাকা মিল মালিকদের দিচ্ছে সরকারি সুযোগ সুবিধা।
জানা গেছে, ঠাকুরগাঁও জেলায় হাতেগোনা দু-একটি হাস্কিং মিল ছাড়া সবগুলোই বন্ধ হয়ে গেছে। চালকলে স্থাপন করা ধান ভাঙার উপকরণগুলো হয়ে পড়েছে অকার্যকর। পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে আছে শত শত একর জমি। উত্তরের ঠাকুরগাঁও এ জেলায় এক সময়ে গড়ে ওঠা দেড় হাজারের বেশি হাস্কিং মিলে গড়ে প্রতিদিন সহস্রাধিক শ্রমিক কাজ করলেও এখন বেকার হয়ে পড়েছেন। অটোমিল মালিকদের উৎপাদিত চকচকে চালের বাজারে টিকে থাকতে না পারায় একে একে বন্ধ হয়েছে ঠাকুরগাঁও জেলার হাস্কিং মিলগুলো। তবে সারা বছর বন্ধ থাকলেও বছরের বোরো ও আমন মৌসুমে দু-একটি মিল চালু দেখালেও বেশিরভাগ মিল মালিকরা কৌশলে নিচ্ছেন সরকারি গুদামে চাল সরবরাহের বরাদ্দ। এ অবস্থায় কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন বলে মনে করছেন সবাই। চালকল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সন্তোষ কুমার আগরওয়ালা জানান, সরকারের নীতিমালায় যদি যোগ করা হয় সারা বছর মিল চালু রেখে কতটুকু বিদ্যুৎ খরচ হয়েছে। তাহলে মিল বন্ধ রেখে বরাদ্দ নিচ্ছে নাকি খোলা থাকছে এটি পরিষ্কারভাবে উঠে আসবে।
এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মনিরুল ইসলাম জানান, সারা বছর মিলগুলো বন্ধ থাকে এটা সত্য। তবে মৌসুমে মিলগুলো চালু থাকে বলে দাবি তার। তবে সারা বছর কীভাবে মিলগুলো চালু রাখা যায় সে বিষয়ে মিলারদের সঙ্গে আলোচনা চলছে।
ঠাকুরগাঁও জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয়ের তথ্য মতে, চলতি বোরো মৌসুমে ৩২ হাজার ৭১৩ মেট্রিকটন চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে ২২টি অটো রাইসমিল ও ৮৯৪টি হাস্কিং মিল মালিককে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।