
বাজারে আবারও ডিম ও চালের দাম ঊর্ধ্বমুখী। এক সপ্তাহ আগেও ডিমের ডজন বিক্রি হয়েছে ১২০ টাকায়; আর এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ১৪০ টাকায়। এক সপ্তাহের ব্যবধানে শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) একই দশা চালের বাজারে। খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি চালে দাম বেড়েছে ২ টাকা করে। ৫০ কেজির এক বস্তা চালের দাম বেড়েছে ৮০-১০০ টাকা।
এদিন বাড্ডা, রামপুরা ও মহাখালী এলাকার বাজার ঘুরে দেখা যায়, ৫২ টাকায় বিক্রি হওয়া মোটা চাল (স্বর্ণা ও লতা) বিক্রি হচ্ছে ৫৪ টাকা কেজি দরে। এদিকে মিনিকেট কদিন আগে ৭৪ টাকা কেজিতে বিক্রি হলেও এখন তা বেড়ে হয়েছে ৭৬ টাকা। নাজিরশাইল চালের কেজি ৭৬ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৭৮ টাকা।
বাজারে চালের দাম বেড়ে যাওয়ায় ক্ষুব্ধ ক্রেতা সাধারণ। সময় সংবাদকে আবদুস সত্তার নামে এক ক্রেতা বলেন, প্রতি সপ্তাহে দাম বাড়ে। অন্য কিছুর দাম বাড়লে সামলানো যায়; কিন্তু চালের দাম বাড়লে তো না খেয়ে থাকতে হবে।
বাজারে কেন চালের দাম ঊর্ধ্বমুখী জানতে চাইলে উত্তর বাড্ডার ‘বরিশাল রাইস এজেন্সির’ মালিক শওকত হোসেন বলেন, ভারত চালের ওপরে ২০ শতাংশ ট্যাক্স বসাইছে। এতে কইরা আমদানি খরচ বাড়ছে। অন্যদিকে বন্যায় এবার ফলন এমনিতেই কম হয়েছে। বাজারে চাল আসেই কম, দামতো একটু বেশি থাকবেই।
আরেক চাল ব্যবসায়ী হানিফ মাওলা বলেন, ‘মোকামে প্রতি বস্তায় দাম বেড়েছে ১৫০ টাকা করে। বাড়তি টাকা দিয়েও চাহিদামতো চাল পাওয়া যাচ্ছে না। মোকামে দাম না বাড়লে তো আমরা দাম বাড়াই না।’
এদিকে চালের পাশাপাশি বেড়েছে ডিমের দামও। বাজার থেকে শুরু করে মুদির দোকানগুলতে ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪০-১৪৫ টাকা দরে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে ডিমের দাম কীভাবে এত বেড়ে গেল জানতে চাইলে উত্তর বাড্ডা ডিমের পাইকারি দোকানদার সোহরাব বলেন, ‘পাইকাররা একেক দিন একেক রেট দেয়। টানা চার দিন ধইরাই দাম বাড়তেছে।’
ডিমের দাম বাড়া নিয়ে সময় সংবাদের কথা হয় স্কুলশিক্ষিকা মুমতাহিনা নওশীনের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘ঠিক করেছি ১০ দিন ডিম খাব না। আমরা যদি ডিম না কিনি এমনিতেই দাম কমে যাবে। এটাতো আর মাসের পর মাস মজুত করে রাখতে পারবে না।’