মোহাম্মদ মিলন আকতারঃ ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধিঃ উত্তরের চল্লিশ লাখ মানুষের স্বাস্থ্যসেবার একমাত্র ভরসা এখন ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতাল। ২৫০ শয্যার এ হাসপাতালটিতে রোগী ভর্তি থাকছে কয়েক গুণ। রোগীরা তাদের যে কাঙ্ক্ষিত সেবা, সেটা যেন নির্বিঘ্নে তারা গ্রহণ করতে পারে।
এরই ধারাবাহিকতায় ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে অক্সিজেন প্লান্টের স্থাপন করা হয়েছে।এটি স্থাপনের কারনে ব্যাপক ভাবে আলোচনায় রয়েছে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট আধুনিক সদর হাসপাতাল।
জানা যায় একসময় এই হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা দিতে হিমসিম খেয়ে যাচ্ছিলো হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু গত কয়েক বছরের আগের চিত্রের তথা চিকিৎসা সেবা থেকে বর্তমান চিকিৎসা সেবা অনেকাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।সেই সাথে দীর্ঘদিন ধরে ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট আধুনিক সদর হাসপাতালে অক্সিজেন প্লান্টের ঘাটতি ছিলো।উত্তরের চল্লিশ লাখ মানুষের স্বাস্থ্যসেবার একমাত্র ভরসা এখন ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতাল। আড়াইশ শয্যার এ হাসপাতালটিতে রোগী ভর্তি থাকছে কয়েক গুণ। এ অবস্থায় কাঙ্ক্ষিত সেবার লক্ষ্যে স্থাপন করা হয়েছে অক্সিজেন প্লান্ট।
হাসপাতালের প্রতিটি বেডে রয়েছে অক্সিজেনের ব্যাবস্থা।এতে করে পূর্বে হাসপাতালে আসলে শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যার কারনে পরতে হতো নানান সমস্যায়।রেফার্ড করে দিতো বাইরের কোন হাসপাতালে। দীর্ঘদিনের আক্ষেপের অবসান হয়েছে গত আগস্ট মাসে। এখন থেকে নিয়মিত ভাবে প্রতিটি রোগী তাদের কাংখিত সেবা পাবে সেই সাথে হতে হবেনা চিকিৎসা সেবা নিয়ে কোন হয়রানির স্বীকার।
সদর হাসপাতালের ইমার্জেন্সি ওয়ার্ডে প্রবেশ করতেই চোখে আসে”জরুরী প্রয়োজনে কল করুন”। চিকিৎসা সেবা নিতে এসে যদি কোন রোগী হয়রানির স্বীকার হয় তবে সেই হয়রানির কথা জানানোর জন্য দেওয়া হয়েছে একটি মোবাইল নাম্বার।
ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালের ওয়ার্ড মাষ্টার মোঃফিরোজ হাসান বলেন,দীর্ঘদিন ধরে আমরা অক্সিজেন প্লান্টের অভাবে রোগীদের চিকিৎসা সেবা প্রদানে পিছিয়ে ছিলাম।এখন অক্সিজেন প্লান্ট স্থাপনের কারনে রোগীরা তাদের অক্সিজেনের অভাবে যে সকল সমস্যার সম্মুখীন হতো তা থেকে পরিত্রান পাবে বলে মনে করছি।
২৫০ শয্যাবিশিষ্ট আধুনিক জেনারেল হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডাঃমোহাঃফিরোজ জামান বলেন, আগে আমাদের অক্সিজেন প্লান্টের ঘাটতি ছিলো।যার কারনে রোগীরা তাদের প্রয়োজনীয় সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছিলো।এখন অক্সিজেন প্লান্ট স্থাপনের কারনে তারা তাদের প্রয়োজনীয় সেবা পাবেন।সেই সাথে তরল লিকুইড অক্সিজেন ও অক্সিজেন সিলিন্ডারের উপর চাপ কমেছে এবং রোগীরা অনেক ভালো সেবা পাচ্ছে বলে মনে করছি।