তিমির বনিক, মৌলভীবাজার প্রতিবেদক: ভারতে মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত এক ব্যক্তি মারা যাওয়ার পর ভারতের সাথে সীমান্ত ঘেরা মৌলভীবাজার জেলা এর জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। সোমবার ভারতের কেরালা রাজ্যে মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হয়ে ২২ বছরের ওই তরুণের মৃত্যু হয়। ত্রিপুরা রাজ্যের সাথে সীমান্তে ঘেড়া মৌলভীবাজার জেলা সীমান্ত চেকপোস্টগুলো হয়ে ভারতে যাওয়া আসার সময় এই রোগ শনাক্তের এখনো কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
তথ্যানুসন্ধান সূত্রে জানা যায়, ভারতের সাথে মৌলভীবাজার জেলার প্রায় ২৫০ কি:মি: সীমান্ত এলাকা রয়েছে। জেলার কুলাউড়া উপজেলার চাতলাপুর , কমলগঞ্জ উপজেলার কুরমা এবং জুড়ী উপজেলার বটুলি এই ৩টি সীমান্ত চেকপোস্ট হয়ে দুই দেশের লোকজন নিয়মিত যাতায়াত করে থাকেন। এছাড়া এই জেলার সীমান্তে দেশীবিদেশী চোরাকারবারি এবং অনুপ্রবেশকারীদের তৎপরতাও বেশ রমরমা যা প্রশাসন অবগত গত কিছুদিনের ইতিহাস দেখলে তা পরিষ্কার। কিন্তু এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (মঙ্গলবার সকাল ১২ টা প্রায় ) সীমান্ত এলাকার চেকপোস্টগুলোতে মাঙ্কিপক্স রোগ শনাক্তের কোনো রকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
বর্ডারগার্ড (বিজিপি) বাংলাদেশ ৪৬ ব্যাটলিয়নের অধিনায়ক ( সিও) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মিজানুর রহমান শিকদার এ প্রসঙ্গে ‘প্রতিবেদক’কে বলেন সীমান্তে বিজিবি সদস্যরা তাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব নিষ্ঠার সাথে নিয়মিত পালন করছেন। আমরা সব সময় সতর্কাবস্থানে নিয়োজিত।
মৌলভীবাজার জেলার সিভিল সার্জন (সিএস) চৌধুরী জালাল উদ্দীন মুর্শেদ ‘প্রতিবেদক’কে বলেন মাঙ্কিপক্সের বিষয়ে এখন পর্যন্ত সরকার কর্তৃক আমাদের কাছে কোনো নির্দেশনা আসেননি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, সোমবার কেরেলা রাজ্যে মাঙ্কিপক্স সংক্রমিত হয়ে এক ব্যক্তি প্রাণ হারান। ওই ব্যক্তির বয়স ২২ বছর। তিনি কেরালার ত্রিশুর জেলার বাসিন্দা।
দ্য নিউজ মিনিট নামে একটি সংবাদমাধ্যম বলছে, ১৯ জুলাই আমিরাতে ওই তরুণের মাঙ্কিপক্স শনাক্ত হয়। জ্বর নিয়ে ২৭ জুলাই কেরালার একটি হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি।
পাশের দেশ ভারতে এ পর্যন্ত পাঁচজনের মাঙ্কিপক্স শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে চারজন কেরালা ও একজন দিল্লির। কেরালার চারজন সম্প্রতি বিদেশ থেকে ভারতে ফেরেন।