![InShot_20220802_122305267](https://banglaexpressonline.com/wp-content/uploads/2022/08/InShot_20220802_122305267-scaled.jpg)
তিমির বনিক, মৌলভীবাজার প্রতিবেদক: মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার কুলাউড়া, পৃথিমপাশা, হাজীপুর, শরীফপুর সড়কে মনু নদের ওপর ‘রাজাপুর সেতু’ নামক নির্মাণ কাজ বছর খানেক আগে শেষ হয়েছে। কিন্তু সেতুর দুই পাশের সংযোগ সড়কের কাজ এখনো শুরু হয়নি। এ কারণে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এ অঞ্চলের লক্ষাধিক মানুষ। এ অবস্থায় সেতুর দুই পাশে বাঁশের মই স্থাপন করে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে স্থানীয় বাসিন্দারা।
সওজ অধিদপ্তর ও এলাকাবাসীর সূত্রের বরাতে জানা গেছে, উপজেলার পৃথিমপাশা ইউনিয়নের রাজাপুর এলাকায় মনু নদের পারে একটি খেয়াঘাট ছিল। নদের বিপরীত পাশে হাজীপুর ও শরীফপুর ইউনিয়ন পড়েছে। এসব এলাকার লোকজন রাজাপুরের খেয়াঘাট দিয়ে প্রতিদিন নৌকায় করে নদ পার হয়ে পৃথিমপাশাসহ উপজেলা সদরে বিভিন্ন কাজে আসা-যাওয়া করত। এতে দীর্ঘদিন ধরে দুর্ভোগ পোহাচ্ছিল তারা। এলাকাবাসীর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৮ সালে রাজাপুর সেতু নির্মাণ প্রকল্পটি একনেক সভায় অনুমোদন হলে সওজ অধিদপ্তর মনু নদের ওপর সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। প্রকল্পের সর্বমোট ব্যয় ধরা হয় ৯৯ কোটি ১৭ লাখ টাকা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, নবনির্মিত সেতুটি বেশ উঁচু। এটির পূর্ব পাশে ৪০-৪৫ ফুট এবং পশ্চিম পাশে ৩০-৩৫ ফুট উঁচু মই লাগানো। মইয়ের দুই পাশে বাঁশ দিয়ে রেলিং দেওয়া হয়েছে। লোকজন মই বেয়ে সেতুতে ওঠানামা করছে। দুই পাশের মই নড়বড়ে হয়ে পড়েছে। যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কার চিন্তা করছেন স্থানীয়রা।
সওজ অধিদপ্তরের কুলাউড়া সড়ক বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী পার্থ সরকার বলেন, ‘রাজাপুর সেতুর সংযোগ সড়কে ২০টি কালভার্টের মধ্যে আটটির নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। জমি অধিগ্রহণে দীর্ঘসূত্রতায় সংযোগ সড়কের কাজ শুরু করা যাচ্ছে না।’
সড়ক ও জনপথ বিভাগের (মৌলভীবাজার) নির্বাহী প্রকৌশলী জিয়া উদ্দিন বলেন, ‘ভূমি অধিগ্রহণের জন্য ৫০ শতাংশ প্রস্তাবনা মন্ত্রণালয় থেকে এরই মধ্যে অনুমোদন হয়েছে। এটির প্রাক্কলন জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে প্রস্তুত হচ্ছে। সেখান থেকে চূড়ান্ত হওয়ার পর খুব শীঘ্রই অধিগ্রহণের কাজ শুরু হবে। বাকি ৫০ শতাংশের অনুমোদনের জন্য এই আগষ্ট মাসে প্রস্তাবনা পাঠানো হবে।’
জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান বলেন, ‘সওজ অধিদপ্তর ভূমি অধিগ্রহণের প্রস্তাবনা পাঠাতে সময়ক্ষেপণ করেছে, এর কারণে জমি অধিগ্রহণ কাজ শুরু করতে একটু বিলম্ব হচ্ছে। এখন বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। দ্রুত সাধারণ মানুষের এ সমস্যা সমাধান হবে বলে আশা করি।