মো. রাসেল ইসলাম: যশোরের শার্শা ও বেনাপোল পোর্ট থানা প্রাঙ্গনে শতশত মোটরসাইকেল ও প্রাইভেটকার সহ বিভিন্ন ধরনের যানবাহন খোলা আকাশের নীচে নষ্ট হচ্ছে। রোদ বৃষ্টি আর ধূলা ময়লার স্তূপে এসব গাড়ির যন্ত্রাংশ মরিচা পড়ে বিকল হয়ে পড়েছে। মামলা জটিলতায় দীর্ঘদিন ধরে অযত্নে অবহেলায় এসব যানবাহন পড়ে থেকে হারিয়ে ফেলেছে চলাচলের ক্ষমতা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিভিন্ন অপরাধে জব্দকৃত ও মামলার আলামত হিসাবে বেনাপোল পোর্ট থানা ও শার্শা থানা চত্বরে রোদ বৃষ্টিতে নষ্ট হচ্ছে বিভিন্ন যানবাহন। যেগুলো বছরের পর বছর খোলা আকাশের নীচে এভাবে পড়ে আছে। এখানে রয়েছে মোটরসাইকেল, প্রাইভেটকার, অটোরিক্সা, ট্রাক সহ শতশত যানবাহন। মামলার আলামত হিসেবে এসব গাড়ি জব্দ করা হলেও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে খোলা আকাশের নিচে দিনের পর দিন পড়ে থেকে নষ্ট হচ্ছে সাধারণের মূল্যবান সম্পদ। দিনে দিনে গাড়ি গুলো বিকল হয়ে পড়লেও সংরক্ষণের যেন উদ্যোগ নেই কতৃপক্ষের। তবে এ কারণে আদালতে প্রমাণ স্বরূপ মামলার এসব যানবাহনের আলামত নষ্ট হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন অনেকে।
এদিকে বিচারিক কার্যক্রম বিলম্ব হওয়ায় জব্দকৃত এসব যানবাহন নিলামে কিংবা মালিকদের কাছে হস্তান্তর করা যাচ্ছে না বলে জানান প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
স্থানীয়রা বলেন, বছরের পর বছর রোদ বৃষ্টিতে শতশত গাড়ি মাটির সাথে মিশে যাচ্ছে। থানায় পড়ে থাকা এসব গাড়ি গুলা নিলামের মাধ্যমে বিক্রি করলে আমাদের মত যুবকরা বা অনেকেই এই গাড়ি গুলা কিনতে পারবে। আমরা চাই দ্রুত সময়ের মধ্যে এই গাড়ি গুলা এখান থেকে সরিয়ে নেওয়া হোক।
বেনাপোল ট্রান্সপোর্ট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আজিম উদ্দীন গাজি বলেন, দুটি থানায় শতশত গাড়ি পড়ে আছে। এসব গাড়ি বিক্রি করে দিলে যেমন থানার পরিবেশ বাঁচবে, তেমনই সরকার কোটি কোটি টাকা রাজস্ব পাবে।
নাভারণ সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মো. জুয়েল ইমরান বলেন, জব্দকৃত গাড়ি থানায় দীর্ঘদিন পড়ে থাকায় আমাদের বেগ পেতে হয়। যদি বিজ্ঞ আদালত মামলা গুলো নিষ্পত্তি করেন। তাহলে আমরা এসব আলামত দ্রুত নিষ্পত্তি করতে পারবো।
এসব থানায় জব্দকৃত গাড়িগুলো পরিত্যক্ত স্থানে ফেলে না রেখে একটি নির্দিষ্ট স্থানে সেডের নিচে রাখলে দীর্ঘ সময়েও নষ্ট হবেনা। সেটি না করলে কোনটা সচল আর কোন অচল বুঝার উপায় থাকবেনা। অবকাঠামো হারিয়ে চ্যাচিস ছাড়া অবশিষ্ট কিছুই থাকবেনা বলে মনে করেন সচেতন মহল।