বাগেরহাট প্রতিনিধিঃ বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার বাধাল ইউনিয়নের মৎস্য অধিদপ্তরের আওতায় কান্দের খাল ও সাংদিয়া বিলকুল খাল পূণঃখননে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের স্থানীয় পরিচালনাকারী প্রভাবশালী হওয়ায় নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে নিজের ইচ্ছামত ভরা পানিতে নাম মাত্র খাল খনন করেছে বলে এলাকাবাসী জানিয়েছে।
জানাগেছে, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রনালয়ের মৎস্য বিভাগের টেকসই উপকূলীয় এবং সামুদ্রিক মৎস্য প্রকল্পের আওতায় স্কেলিং-আপ ক্লাস্টার ফামিংয়ের জন্য ডিজাইন এবং তত্বাবধন সহ খালগুলির পূনর্বাসনে জন্য উপজেলার বাধাল ইউনিয়নের কান্দের খাল ৪.৪৫ কি.মি ও সাংদিয়া-বিলকুল খাল ২.৬৪ কি.মি, সর্বমোট ৭.০৯ কি.মি খাল পূণঃখনন কাজ ৬ এপ্রিল ২০২২ তারিখ শুরু করে। কান্দের খালটি উপরে ১৩.৮৫ মিটার এবং নিচ ৬.৩৫ মিটার গভীরতা ৩.০০ মিটার, সাংদিয়া-বিলকুল খালের উপরে ১৩.১৬ মিটার এবং নিচ ৭.১৬ মিটার গভীরতা ৩.৪০ মিটার খনন করার কথা থাকলে ও পূর্বে যে অবস্থা ছিল তার সামান্য পরিবর্তন করে প্রায় সেই অবস্থায় রেখে পাশের মাটি সরিয়ে সমান করা হয়েছে। মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ মন্ত্রনালয়ের মৎস্য বিভাগের টেসই উপকূলীয় এবং সামুদ্রিক মৎস্য প্রকল্পের আওতায় স্কেলিং-আপ ক্লাস্টার ফামিংয়ের জন্য ডিজাইন এবং তত্বাবধন সহ খালগুলির পূনর্বাসনে জন্য পরামর্শ সংস্থা
জেপিজেড-কেএআইওয়াই-জেসিএল জয়েন্ট ভেঞ্চারের মাধ্যমে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এম/এস তাহসিন ট্রেডিং কাজটি পায়। ওই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান থেকে স্থানীয় ঠিকাদার বাগেরহাট জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য কামাল হোসেন কাজটি সম্পূর্ন করার জন্য নিয়ে নিজের ইচ্ছামত কাজ করাচ্ছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
এলাকাবাসীর পক্ষে নিজাম উদ্দিন জানান, সঠিক নিয়মে খাল খনন হচ্ছে না। এ ব্যাপারে স্থানীয় ঠিকাদারী কামাল হোসেন বলেন, খননের সময় সব জায়গায় এক লেভেল হয় না। কোথাও কম এবং কোথাও বেশি খনন করা হয়েছে। এম.এস তাহসিন ট্রেডিং এর সত্বাধিকারি এমডি সহিদুল ইসলাম বলেন,কামাল হোসেন এর সাথে কথা বলেন, খাল যেখানে যে অবস্থায় আছে সেই অসস্থায় কাটা হয়েছে। সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা প্রনব কুমার বিশ্বাস বলেন, প্রতি ঘনফুট মাটি বাবদ ১২০টাকা হিসাবে ধরা হয়ে থাকে, তবে এই প্রকল্পে কত টাকা ধরা হয়েছে তা জানা নেই।