পবিত্র হজের খুতবা শুরু হয়েছে। আরাফার ময়দানে অবস্থিত মসজিদে নামিরায় হজের খুতবা দিচ্ছেন শায়খ ড. মুহাম্মদ বিন আবদুল করিম আল ইসা।
চলতি বছর হজের খুতবা বাংলাসহ ১৪ ভাষায় সম্প্রচার করা হচ্ছে। বাংলায় অনুবাদ করছেন উম্মুল কুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি গবেষক মাওলানা শোয়াইব রশিদ। তার সহকারী হিসেবে রয়েছেন খলিলুর রহমান।
অনুবাদের তালিকায় থাকা ভাষাগুলো হলো- ইংরেজি, বাংলা, ফরাসি, মালয়, উর্দু, ফার্সি, রুশ, চীনা, তুর্কি, হাউসা, স্প্যানিশ, ভারতীয়, সোয়াহিলি এবং তামিল।
আরো বেশি শ্রোতার কাছে সংযম ও সহনশীলতার বার্তা পৌঁছে দিতেই ১৪টি ভাষায় খুতবা অনুবাদের উদ্যোগ নিয়েছে সৌদি সরকার।
পবিত্র হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে মিনায় মুসল্লিদের জড়ো হওয়ার মধ্য দিয়ে। বৃহস্পতিবার (স্থানীয় সময় ৮ জিলহজ) সকাল থেকে মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হলেও বুধবার রাতেই হাজিরা মিনার তাঁবুতে পৌঁছাতে শুরু করেন। হাজীরা ইসলামের পবিত্রতম স্থান কাবা শরিফ তাওয়াফ শেষে এশার নামাজের পর মক্কার নিজ নিজ আবাসন থেকে ইহরাম বেঁধে মক্কা থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরের মিনায় যাত্রা করেন। অন্যান্য দেশের হাজিদের সাথে বাংলাদেশের ৬০ হাজার হাজিও রওনা হন মিনার পথে। এ সময় গুঞ্জরিত হয় তালবিয়া-‘লাব্বাইকা আল্লাহুম্মা লাব্বাইক। লাব্বাইকা লা শারিকা লাকা লাব্বাইক। ইন্নাল হামদা ওয়াননি’মাতা লাকা ওয়াল মূলক, লা শারিকা লাক।’ মিনায় পৌঁছে হাজিরা ফজর থেকে শুরু করে এশা অর্থাৎ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করেন নিজ নিজ তাঁবুতে। মিনায় রাতে অবস্থান শেষে আজ শুক্রবার হাজিরা আরাফাত ময়দানে সমবেত হন। তবে বৃহস্পতিবার রাতেই অনেকে আরাফাতের ময়দানের দিকে রওনা হন। সেখানেই হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা হবে।
এ ময়দানেই মানবতার মুক্তির দূত মহানবী হজরত মুহাম্মদ সা: বিদায় হজের ভাষণ দিয়েছিলেন। এ বছর আরাফাতের ময়দানে হজের খুতবা দেয়ার জন্য শায়খ ড. মুহাম্মদ আবদুল করিম আল-ঈসাকে নিযুক্ত করেছেন সৌদি বাদশাহ। একই সাথে মসজিদে নামিরাতে নামাজ পড়াবেন তিনি।
সূত্র : ডেইলি জং