২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে অনুষ্ঠিতব্য বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনে জনগণ স্বাধীনভাবে তাদের নেতা নির্বাচন করবে এমনটাই প্রত্যাশা করে যুক্তরাষ্ট্র। দুদিন আগে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের সঙ্গে বৈঠকে দেশটির রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বিশ্বব্যাপী গণতন্ত্রের প্রতি নিজ দেশের প্রতিশ্রুতির কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
রবিবার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (ওইসিডি) ভুক্ত ১৪টি দেশের কূটনীতিকরা ইসির সঙ্গে বৈঠক করেন। ওই বৈঠকে বৃটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি সহ অন্যদের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাসও উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকের দুদিন বাদে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ বিষয়ে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরেছে ঢাকাস্থ যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস।
আজ (মঙ্গলবার) দূতাবাসের অফিসিয়াল টুইটার একাউন্ট থেকে লেখা হয়েছেঃ প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সাথে বৈঠকে রাষ্ট্রদূত হাস বিশ্বব্যাপী গণতন্ত্রের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতির কথা পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে মহান নাগরিক দায়িত্ব গ্রহণকারীদের সাফল্য কামনা করেন।
অন্যদিকে, দূতাবাসের ভেরিফাইড ফেসবুক পেইজে বৈঠকের একটি ছবি পোস্ট করে লেখা হয়েছেঃ ৩ জুলাই রাষ্ট্রদূত হাস এবং অন্যান্য কূটনৈতিক মিশনের প্রধানরা প্রধান নির্বাচন কমিশনার হাবিবুল আউয়ালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। গণতন্ত্র হল শান্তি, সমৃদ্ধি এবং নিরাপত্তাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে মানবতার সবচেয়ে স্থায়ী উপায়। আর গণতন্ত্রের ভিত্তি হল নির্বাচন।। আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে বাংলাদেশের জনগণ স্বাধীনভাবে তাদের নেতা নির্বাচন করবে বলে যুক্তরাষ্ট্র প্রত্যাশা করে।
ওদিকে, বৈঠকের দিনই সেখানে উপস্থিত কানাডার হাইকমিশনার লিলি নিকোলস নিজের অফিসিয়াল টুইটার একাউন্ট থেকে জানিয়েছিলেন যে, “বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু, অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন নিশ্চিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় স্পষ্টতই নজর রাখছে।”