আব্দুল্লাহ আল শাহীন, ইউএই থেকেঃ ব্লকচেইন ও আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের মাধ্যমে দুর্নীতি, অর্থপাচার, হুন্ডির মাধ্যমে টাকা লেনদেন কমিয়ে আনা সম্ভব। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে অর্থনৈতিক নিরাপত্তা বৃদ্ধি ও সময়ের অপচয় কমে আসবে।
৩০ জুন বাংলাদেশ কনস্যুলেটের আয়োজনে ব্লকচেইন নিয়ে এক ইনোভেশন সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন। বক্তারা দুবাইসহ উন্নত বিশ্বের ব্লকচেইন প্রযুক্তির ব্যবহারকে উদাহরণ দিয়ে বাংলাদেশে তা ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করেন৷
আলোচকরা দাবি করেন বাংলাদেশ চতুর্থ শিল্প পরিবর্তনের পথে ব্লকচেইন ও আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সকে কাজে লাগিয়ে অর্থনৈতিক উন্নতিতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে। এতে করে ডিজিটালাইজেশন ও মেশিন লার্নিংয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ প্রযুক্তি নির্ভরতায় আরও একধাপ এগিয়ে যাবে।
আলোচকরা বলেন, প্রযুক্তির মাধ্যমে প্রশাসনের পক্ষে সহজ হবে নাগরিকদের গোপনীয় তথ্যাদি সুরক্ষিত রাখা এবং প্রতারণাকে রুখে দেবে। তথ্য প্রতারণা বন্ধে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখবে ব্লকচেইন।
সংযুক্ত আরব আমিরাত ইতোমধ্যে বিভিন্ন দালালিক কাজ কাগজের পরিবর্তে ডিজিটাল করে বিশ্বে অন্যতম প্রযুক্তি নির্ভর দেশে পরিচিতি লাভ করেছে৷ বিশেষ করে দুবাই শহরকে আধুনিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির নির্ভর করে তোলার চেষ্টা করছে।
সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কনসাল জেনারেল বিএম জামাল হোসেন।
কমার্শিয়াল কাউন্সিলর কামরুল ইসলামের সঞ্চালনায় আলোচনায় অংশ নেন মাহতাবুর রহমান নাসের সিআইপি, নেসার রেজা খান, আলেকজান্ডার রিগোড, জর্জ সেবসাথিও, মেথিউস, ড. মোস্তাফা, আদিল মতিন, ডেনসহ বিভিন্ন দেশের প্রযুক্তি বিশ্লেষক।