পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে গান ও কবিতার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূয়সী প্রশংসা করলেন সরকারি দলের দুই সংসদ সদস্য।
মঙ্গলবার (২৭ জুন) সংসদে ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় পদ্মা সেতু এবং সরকারপ্রধান নিয়ে আবৃত্তি করেন শিল্পী মমতাজ বেগম ও বিশিষ্ট অভিনেতা আসাদুজ্জামান নূর।
বাজেট আলোচনায় দেশের জনপ্রিয় লোক সংগীত শিল্পী ও সংসদ সদস্য মমতাজ প্রথমে গান শোনান— ‘আমার নেত্রী শেখ হাসিনা যার তুলনা নাই/এমন একজন নেত্রীর জন্য আমি দোয়া চাই।’
মমতাজ তার বক্তব্যে বিএনপির সংসদ সদস্যদের বিভিন্ন বক্তব্যের সমালোচনা করেন।
আলোচনার এক পর্যায়ে মমতাজ বলেন, ‘এখন নারীরা শাড়ি-গয়না চায় না।’ এরপর তিনি গেয়ে ওঠেন, ‘চাই না গয়না চাই না শাড়ি/নৌকাতে ভোট না দিলে যাবো চলে বাপের বাড়ি।’
মমতাজ বলেন, তিনি সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার সিডনি ও মেলবোর্নে বঙ্গবন্ধু পরিষদের আয়োজনে অনুষ্ঠান করতে যান। সেখানে আমার পাঙ্খা পাঙ্খা গানের সঙ্গে একটি মেয়ে খুব সুন্দর নাচছিল। অনুষ্ঠান শেষে মেয়েটি আমার সঙ্গে সেলফি তুলতে আসলে আমি বলেছিলাম— তুমি কি নাচ শিখেছো? মেয়েটি আমাকে বলে, আপনি আমারা বাবাকে চিনবেন। তিনি আপনার কলিগ। আমি জানতে চাইলাম কে? মেয়েটি জানালো— তার বাবা হারুনুর রশীদ সাহেব (বিএনপির সংসদ সদস্য)।
এসময় সংসদে হাসির রোল ওঠে। সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও এসময় হাসতে দেখা যায়।
বিএনপির হারুনুর রশীদ সংসদে তার বক্তব্যে কোরান হাদিস থেকে উদ্ধৃতি দেওয়ার প্রসঙ্গ টেনে মমতাজ বলেন, ‘আমরাও কোরান-হাদিস পড়ি। ছয়টি হাদিস গ্রন্থ আমি পড়েছি। আমি, আমার মা-বাবা হজ করেছেন। এগুলো ধারণ করার বিষয় প্রকাশ করার নয়। আমার বাবা বাউল। আমরা ধর্মভীরু। ধর্মান্ধ নই।’
বক্তব্যের শেষের দিকে বিরোধী দলের দিক থেকে মমতাজকে আরও একটি গান গাওয়ার অনুরোধ আসে। মমতাজ তখন বলেন, ‘আরে আপনি শুনতে চেয়েছেন, গাইবো না?’
এরপর তিনি গেয়ে ওঠেন, ‘সবার আগে চিন্তা করলো শেখ হাসিনার সরকার/যাতায়াতের উন্নয়নে পদ্মা সেতু দরকার।’
এর আগে সাবেক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর তার বক্তব্য শেষে কবি কামাল চৌধুরীর ‘পদ্মা সেতু’ কবিতা থেকে কিছু অংশ আবৃত্তি করেন।
‘আমাদের এই গল্প শেখ হাসিনার হাতে এখন ইতিহাস হয়ে গেছে/ বহু বছর পরে আরেকটি বিজয় পার হয়ে যাচ্ছে/ খরস্রোতা পদ্মা/ নৌকা, ভাটিয়ালি, ফেরিঘাট, জাহাজের ভেঁপু ছুঁয়ে ছুঁয়ে স্বপ্নের দিকে হাত বাড়িয়ে দিয়েছে দুই তীরের বন্ধন।’