সিলেটে কুশিয়ারা নদীর পানি ধীর গতিতে নামতে থাকায় ভোগান্তি বাড়ছে ৭ উপজেলায়। জকিগঞ্জ, গোলাপগঞ্জ, বালাগঞ্জ, বিয়ানিবাজার, ফেঞ্চুগঞ্জ, দক্ষিন সুরমা ও ওসমানীনগরে বন্যাপরিস্থিত এখনও অপরিবর্তিত রয়েছে। এসব এলাকায় পানিবন্দি কয়েক লাখ মানুষ।
অন্যদিকে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে সুরমা, সারি ও ধলাই নদীর অববাহিকায় থাকা সিলেট সদর, বিশ্বনাথ, কানাইঘাট, জৈন্তাপুর, গোয়াইনঘাট ও কোম্পানিগঞ্জে। এসব উপজেলায় আশ্রয় কেন্দ্র থেকে বাড়ি ফিরছেন অনেকেই।
তবে কাজ না থাকায় তাদের বেশিরভাগ খাদ্য সংকটে ভুগছেন। জেলা প্রশাসনের তথ্য মতে, ১৩ উপজেলায় ৫৩০টি আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায় ৪৬ হাজার মানুষ মানবেতর জীবনযাপন করছে।
এদিকে, গতকাল সোমবার (২৮ জুন) রাতেও মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টিপাত হয়েছে সুনামগঞ্জে। আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছে, ভারতের মেঘালয় ও আসামে টানা বৃষ্টি অব্যহত থাকায় দুর্দিন কাটতে সময় লাগতে পারে সুনামগঞ্জবাসীর। এখনও ডুবে আছে নিচু এলাকাগুলোর বহু ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট।