সিলেট রেলস্টেশন থেকে পানি নেমে যাওয়ায় ঢাকা-সিলেট রুটে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। সিলেট রেলস্টেশনের স্টেশন ম্যানেজার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
রোববার (১৯ জুন) দুপুরে এই রুটে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়। এর আগে গতকাল বন্যায় পানি বেড়ে যাওয়ায় সিলেট রেলস্টেশন থেকে টেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তখন রেল কর্তৃপক্ষ জানায়, ঢাকাগামী যাত্রীরা জেলাটির ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার মাইজগাঁও ইউনিয়নের স্টেশন থেকে ট্রেনে করে যেতে পারবেন।
এদিকে, বানের জলে ভাসছে সিলেট ও সুনামগঞ্জ। সীমাহীন দুর্ভোগে বন্যাকবলিত লাখ লাখ মানুষ। সিলেটে বৃষ্টিপাত কমলেও কমেনি বানভাসী মানুষের দুর্ভোগ। শহরটির সড়ক ও বাসাবাড়িতে এখনও হাঁটুপানি। তবে, ওসমানী মেডিকেলের নিচতলা থেকে পানি নেমে গেছে। তবে ভয়াবহ অবস্থায় রয়েছে কোম্পানীগঞ্জের মানুষ। সেখানে আশ্রয়কেন্দ্রে জায়গা নেই। সেই সাথে এসে পৌঁছেনি সরকারি সহায়তা।
হাওরবেষ্টিত সুনামগঞ্জে এখন বেশিরভাগ আবাসস্থলই ডুবে গেছে পানিতে। উঁচু বাড়ির চালে অবস্থান নিয়ে রয়েছে এখনও বানভাসী মানুষ। সেখানে মানুষ ও গবাদিপশুর আশ্রয় হয়েছে একইসাথে। কেউ কেউ নৌকায় সাময়িকভাবে থাকার ব্যবস্থা করেছে। বেশ কয়েকজনের সাথে কথা বলে যমুনা নিউজ জানতে পেরেছে, গতকাল পর্যন্ত সুনামগঞ্জের বেশ কিছু এলাকায় পৌঁছেনি কোনো ত্রাণ। লম্বা সময় ধরে সড়কপথে যোগাযোগ, বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ থাকার এরকম সময়ে ত্রাণ ও সাহায্যের আশায় প্রহর গুনছে অসংখ্য মানুষ।
তবে আজ রোববার (১৯ জুন) থেকে নৌবাহিনীর কার্যক্রম বেশ জোরালোভাবেই শুরু হচ্ছে। বিভিন্ন প্রত্যন্ত অঞ্চলে গিয়ে আটকে পড়া বানভাসী মানুষদের নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যাওয়ার অভিযান আরও শক্তিশালী করতে যাচ্ছে নৌবাহিনী।