বাগেরহাট প্রতিনিধিঃ জাটকা বড় হওয়ার সুযোগ দিয়ে চাল পেলেন প্রায় দেড় হাজার জেলে। বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে ৩ হাজার ৩১০ জন জেলের মাঝে বিশেষ ভিজিএফের চাল বিতরণ করা হয়েছে। সরকারি নিষেধাজ্ঞা মেনে জাটকা অর্থাৎ বাচ্চা ইলিশ ধরা থেকে বিরত থাকায় তাদের হাতে এ চাল তুলে দেওয়া হয়েছে।সোমবার সকালে উপজেলার খাউলিয়া ইউনিয়নের ইউনিয়ন পরিষদ চত্তরে এ চাল বিতরণ করেন ইউপি চেয়ারম্যান মাষ্টার সাইদুর রহমান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা ও ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্যরা ও স্থানীয়রা। গত বছরের পহেলা নভেম্বর থেকে চলতি বছরের জুন পর্যন্ত জাটকা ইলিশ আহরণ নিষিদ্ধ করেছে সরকার। এ সময় সকল জেলে ৮ মাস
জাটকা ইলিশ ধরা থেকে বিরত থাকেন। এই নিষিদ্ধকালীন মানবিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় নিবন্ধিত জেলেদের মাঝে ভিজিএফের ওই চাল বিতরণ করা হয়েছে।খাউলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মাষ্টার সাইদুর রহমান বলেন, সরকারি নিয়ম অনুযায়ী জাটকা শিকার যারা করেনি তাদের মাঝে এই চাল বিতরণ করা হয়েছে। এ সময় তিনি জাটকা ইলিশ রক্ষার জন্য
জেলে ও সচেতন মহলের সহযোগিতা ও কামনা করেন। উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিনয় কুমার বলেন, সব সময়ের জন্য পহেলা নভেম্বর থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত ৮ মাস সারা দেশে জাটকা ধরা নিষেধ। এই নিষেধাজ্ঞার সময়ে যারা ইলিশ আহরণ থেকে বিরত রয়েছেন তাদের মাঝে প্রতি মাসে ৪০ কেজি করে দুই মাসে ৮০ কেজি বিশেষ ভিজিএফের চাল দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, বাচ্চা ইলিশকে বড় হওয়ার সুযোগ দেওয়ার জন্য বছরে আট মাস জাটকা ধরা নিষিদ্ধ করার এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এসময়ের মধ্যে জাটকা বা বাচ্চা ইলিশের মাপ যদি ১০ইঞ্চির নিচে হয়, তাহলে সে জাটকা ধরার জন্য দণ্ডিত হবেন জেলে।বিক্রয়-বিপণন ও সংরক্ষণের জন্য সাজা পাবেন আড়তদার এবং
বিক্রেতা।