আবু তালহা, সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিঃ সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার বানিয়াগাঁতী ভদ্রঘাটে রাসায়নিক সারের বিকল্প হিসেবে উপজেলা কৃষি অফিসের সহযোগিতায় বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন হচ্ছে কেঁচো (কম্পোস্ট) সার। কৃষকদের রাসায়নিক সারের উপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে আনতে এমন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে কৃষি বিভাগ।
রাসায়নিক সারের বিকল্প হিসাবে বর্তমানে কেঁচো কম্পোস্ট সারের জুড়ি নেই। জমির গুণাগুণ ও ফসলের মান বজায় রাখতে কেঁচো কম্পোস্ট অত্যন্ত কার্যকরী। বিশ্বের অনেক দেশে কেঁচো কম্পোস্টের ব্যবহার অনেক বেশি হলেও বর্তমানে আমাদের দেশে স্বল্প পরিসরে কেঁচো কম্পোষ্ট এর ব্যবহার শুরু হয়েছে। এর ব্যবহার কৃষিতে নতুন মাত্রা যোগ করবে বলে মনে করছেন কৃষি কর্মকর্তারা।
কেঁচো সারের ভার্মি কম্পোস্ট প্রযুক্তিটি গড়ে তুলেছেন উপজেলার বানিয়াগাঁতী ভদ্রঘাটের আবু তালেব। ইতোমধ্যে ভার্মি কম্পোস্ট প্রযুক্তিটি এলাকার কৃষকদের মধ্যে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে, এই কেঁচো সারে প্রযুক্তি নিয়ে স্বপ্ন দেখছেন লক্ষ টাকার।
আবু তালেব জানিয়েছেন, তার ৬০ হাজার টাকার মতো খরচ হয়েছে তবে এই সারের ভালো দাম পাচ্ছেন তিনি এবং বাজারে চাহিদাও রয়েছে।
উপজেলা সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন জানিয়েছেন, বর্তমানে এ সার ফসল উৎপাদনে এবং জমির স্বাস্থ্য রক্ষায় ব্যাপক সাফল্য এনেছে। এছাড়া অন্যান্য কম্পোস্টের চেয়ে কেঁচো কম্পোস্টে প্রায় ৭-১০ ভাগ পুষ্টিমান বেশি থাকে যা মাটির স্বাস্থ্য ভাল রাখতে এবং ফসল উৎপাদনে সহায়ক ভুমিকা পালন করে। কৃষকেরা এখন নতুনভাবে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে এই কেঁচো সার কে নিয়ে। কৃষি জমিতে এই সারের ব্যবহারে রাসায়নিক সার ব্যবহার অর্ধেকে নেমে আসবে।