বৃহত্তর ফরিদপুরের পাঁচটি জেলা নিয়ে ‘পদ্মা’ ও চট্টগ্রামের ছয়টি জেলা নিয়ে ‘মেঘনা’ নামে ২ টি নতুন বিভাগ হচ্ছে বলে আগেই ঘোষণা দিয়েছেন সরকারের নীতিনির্ধারকেরা। নতুন এই বিভাগ দুটি নিকারের অনুমোদন পেলে দেশে বিভাগের সংখ্যা হবে ১০টি। তবে বিভাগের জন্য সরকারের প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস-সংক্রান্ত জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটিতে (নিকার) অনুমোদন হতে হয়। এখন পর্যন্ত নিকারের সভায় নতুন এই ২ বিভাগের অনুমোদন হয়নি।
এদিকে আজ সন্ধ্যা থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকেই নতুন বিভাগ হয়ে গেছে লিখে ফেসবুকে পোস্ট দিচ্ছেন। যা সঠিক নয়।
শনিবার (৪ জুন) নিকারের সদস্য ও সরকারের একজন মন্ত্রী একটি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, গত বৃহস্পতিবার নিকারের সভা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পরে সেটি স্থগিত করা হয়েছে। সরকার যদি সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে, তাহলে ‘শিগগির’ আবার নিকারের সভা হতেও পারে। এটি সরকারের সিদ্ধান্তের বিষয়। তবে এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক কোন সিদ্ধান্ত হয়নি।
জানা গেছে, ফরিদপুর জেলার আয়তন ২ হাজার ৭৩ বর্গকিলোমিটার। জনসংখ্যা ১৯ লাখ ৮৮ হাজার ৬৯৭। গোপালগঞ্জ জেলার আয়তন ১ হাজার ৪৬৮ দশমিক ৭৪ বর্গকিলোমিটার। জনসংখ্যা ১১ লাখ ৭২ হাজার ৪১৫। রাজবাড়ীর আয়তন ১ হাজার ১১৮ দশমিক ৮০ বর্গকিলোমিটার। জনসংখ্যা ১০ লাখ ১৫ হাজার ৫১৯। শরীয়তপুরের আয়তন ১ হাজার ৩৬৩ দশমিক ৭৬ বর্গকিলোমিটার। জনসংখ্যা ১১ লাখ ৫৫ হাজার ৮২৪। মাদারীপুরের আয়তন ১ হাজার ১২৫ দশমিক ৬৯ বর্গকিলোমিটার। জনসংখ্যা ১২ লাখ ১২ হাজার ১৯৮। ফলে পদ্মা বিভাগের মোট আয়তন হবে ৭ হাজার ১৪৯ দশমিক ৯৯ বর্গকিলোমিটার। মোট জনসংখ্যা ৬৫ লাখ ৪৪ হাজার ৬৫৩। সাক্ষরতার হার ৪৮ দশমিক ৯ ভাগ।
অপরদিকে বর্তমানে বৃহত্তর কুমিল্লা ও বৃহত্তর নোয়াখালীর ছয়টি জেলায় মোট জনসংখ্যা প্রায় ২ কোটি। ওই ছয় জেলার আয়তন প্রায় ১৩ হাজার বর্গকিলোমিটার।
এদিকে, গত বছরের অক্টোবরে ভার্চ্যুয়াল মাধ্যমে এক অনুষ্ঠানে প্রস্তাবিত এই দুই বিভাগ নিয়ে কথা বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেদিন তিনি বলেছিলেন, বিভাগের ব্যাপারে আমি একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি ২টা বিভাগ বানাব, আমার ২টা নদীর নামে। একটা পদ্মা, একটা মেঘনা। এই দুই নামে ২টা বিভাগ করতে চাই।