বিয়ে করাই যেন তার নেশা, এখন পর্যন্ত বিয়ে করেছেনও বেশ কয়েকটি। এরমধ্যে ৪ জন স্ত্রীর সাথে বিচ্ছেদ হয়েছে। কুমিল্লার বিয়েপাগল এই যুবকের নাম সোহেল রানা। পেশায় তিনি পুলিশ কনস্টেবল। সম্প্রতি স্ত্রী’র স্বীকৃতির দাবিতে এক নারী অনশনে বসলে ঘটনা সামনে আসে। সেই নারীর দাবি, এক বছর আগে ভালোবেসে বিয়ে করেছেন বুড়িচংয়ের নারায়ণসার গ্রামের সোহেল রানাকে। তবে ২৬ এপ্রিল থেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন তাদের। এই ঘটনার পর বেরিয়ে এসেছে সোহেলের থলের বিড়াল।
জানা গেছে, আগেও বেশ কয়েকটি বিয়ে করেছেন সোহেল। এরমধ্যে বিচ্ছেদ হয়েছে ৪ জনের সাথে। এলাকাবাসীও তার এসব কাণ্ড সম্পর্কে অবগত। সোহেল এখন পর্যন্ত ৮টি বিয়ে করেছেন বলে জানান কেউ কেউ। পেশায় পুলিশ কনস্টেবল হলেও প্রতিবেশীরা জানেন, তিনি একজন এএসআই।
সোহেলের বর্তমান কর্মস্থল বরগুনার সিআইডি কার্যালয়। তার দাবি, অনশনে বসা নারীকে ডিভোর্স দিয়েছেন তিনি। বলেন, আমি ওই নারীকে ডিভোর্স দিয়েছি। একথা তার বাবা-মা সবাই জানে। ব্ল্যাকমেইল করে বিয়ে করতে বাধ্য করা হয়েছিল দাবি করে সোহেল জানান, এটাই তার পেশা। এর পেছনে অনেক ইতিহাস আছে। তবে একাধিক বিয়ের কথা কৌশলে এড়িয়ে যান সোহেল। সোহেলের প্রথম স্ত্রী সন্তানসহ থাকেন কুমিল্লার বাড়িতে। এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হয়নি পরিবারের কোনো সদস্য।