রেকর্ড পরিমাণ বাণিজ্য ঘাটতিতে পড়েছে দেশ। অর্থবছরের ৯ মাসেই এ ঘাটতির পরিমাণ প্রায় আড়াই হাজার কোটি ডলার। যা গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৬৪ শতাংশ বেশি। বড় অংকের বাণিজ্য ঘাটতি তৈরি হওয়ায় ভবিষ্যতে অর্থনীতি চাপে পড়ার আশঙ্কা করেছেন অর্থনীতিবিদরা।
করোনাভাইরাস মহামারির কারণে আমদানি কমে যাওয়ায় গেলো দুই বছর কিছুটা সহনীয় পর্যায়ে ছিল বাণিজ্য ঘাটতি। কিন্তু পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করায় বাড়তে শুরু করে ঘাটতির পরিমাণ। তার ওপর রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্ব বাজারে খাদ্য, জ্বালানিসহ বিভিন্ন পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ার প্রভাব পড়েছে আমদানি ব্যয়ে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যমতে, চলতি অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে পণ্য বাণিজ্যে সার্বিক ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ২৫ বিলিয়ন বা ২ হাজার ৪৯০ কোটি ৭০ লাখ ডলার। দেশের ইতিহাসে এর আগে কখনোই এত বিশাল অঙ্কের বাণিজ্য ঘাটতি তৈরি হয়নি।
এর আগে গেলো অর্থবছরের পুরো সময়ে এই ঘাটতি ছিল ২ হাজার ২৮০ কোটি ডলার।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিসাবে, চলতি অর্থবছরের জুলাই-মার্চ সময়ে ৬১ বিলিয়ন ডলারের বেশি পণ্য আমদানি করা হয়েছে। বিপরীতে এ সময় ৩৬ দশমিক ৬১ বিলিয়ন ডলার আয় করেছেন রপ্তানিকারকরা।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, আমদানি অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় বাণিজ্য ও লেনদেন ভারসাম্যে বড় অঙ্কের ঘাটতি তৈরি হয়েছে। এখন অর্থনীতির জন্য বড় চ্যালেঞ্জ, আমদানির লাগাম টেনে ধরা।