ইসরায়েলি বাহিনীর সকল বাধা অতিক্রম করে রমজানের তৃতীয় জুমার নামাজ আদায় করতে আল আকসায় হাজির হয়েছিলেন দেড় লাখ ফিলিস্তিনি। জেরুজালেম ইসলামিক ওয়াকফের বরাতে এমন তথ্য জানিয়েছে আলজাজিরা।
জেরুজালেমস্থ আল আকসা মসজিদে গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই সেখানে চলছে ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনীর আগ্রাসন। এমনকি শুক্রবার (২২ এপ্রিল) ফজরের নামাজের পর ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় আহত হয়েছেন ৩১ ফিলিস্তিনি।
জেরুজালেম ইসলামিক ওয়াকফ আরও জানিয়েছে, শুক্রবার পাসওভার পালন করতে ইহুদি ধর্মাবলম্বীরাও আল আকসা চত্বরের ওয়েস্টার্ন ওয়াল হিসেবে পরিচিত অংশে প্রার্থনা করছিলেন। নয়দিনব্যাপী ‘পাসওভার’ উৎসবের সময় আল আকসায় ইহুদিদের প্রবেশ অনেক বেড়ে যায়। আর প্রতি বছরের এই সময়টায় সমগ্র পূর্ব জেরুজালেমে এমনিতেই এক ধরনের উত্তেজনা বিরাজ করে। মুসলিমদের পবিত্র রমজান মাস, ইহুদিদের গুরুত্বপূর্ণ পাসওভার উৎসব এবং খ্রিস্টানদের ইস্টার উইক একই সাথে পড়ে যাওয়ায় সব ধর্মাবলম্বীরাই এ সময় আল আকসা চত্বরে প্রবেশ করেন।
এদিন আল আকসায় জুমার নামাজ আদায় করতে আসা ফিলিস্তিনি নাগরিক রানা মোহাম্মদ বলেন, আমি মনে করি সব ফিলিস্তিনিরই জেরুজালেম ও আল আকসায় আসা উচিত। এখানে আসলে আপনি আপনার অস্তিত্ব ও জেরুজালেমের প্রতি আপনার দায়িত্ব অনুভব করতে পারবেন। আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে জানানো উচিত যে এটা আমাদের ভূমি, আল আকসা আমাদের ধর্ম। আমরা সাধারণত এখানে আসতে পারি না। তাই এই মুহূর্তের জন্য মিনিটের পর মিনিট গুণে অপেক্ষা করতে হয় আমাদের। এখানে আসতে পারার অনুভূতি সত্যিই অবিশ্বাস্য।
প্রসঙ্গত, শুধুমাত্র রমজান মাসেই পশ্চিম তীর ও অবরুদ্ধ গাজার বাসিন্দারা অবাধে যে কোনও সময় আল আকসা কম্পাউন্ডে প্রবেশের সুযোগ পান। বছরের অন্য সময় এ সুযোগ থাকে না, তাই এমন সূবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া করতে রাজি নন অনেক ফিলিস্তিনিই। দূরদূরান্ত থেকে ফিলিস্তিনি ও ইসরায়েলি পাসপোর্টধারী দেড় লাখ মুসলিম তাই দলে দলে এসেছিলেন আল আকসায় জুমার নামাজ পড়তে।