
সিরাজগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃ সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলায় ৮টি ইউনিয়নই নদীবেষ্টিত। কৃষিনির্ভর এসব ইউনিয়নের মানুষদের জমির ফসল বাজারজাত করতে নিতে হয় চরাঞ্চল থেকে প্রায় ২০-৩০ কিলোমিটার দূরের হাটবাজারে। শুষ্ক মৌসুমে বালি বা হাঁটুপানির পথে এসব পণ্য পরিবহণ করতে হয় ঘোড়ার গাড়িতে। আর বর্ষায় যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম নৌকা। বর্তমানে যমুনায় অসংখ্য চর জেগে ওঠায় নৌচলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। এ কারণে চরাঞ্চলে যাত্রী পরিবহণে ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল ও পণ্য পরিবহনে ঘোড়ার গাড়ির সংখ্যা দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। চরাঞ্চলে নির্দিষ্ট সড়ক না থাকায় বালিপথে যাত্রী ও পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে নানান ধরনের অসুবিধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে গাড়ির চালকদের। চরাঞ্চলে এখন অনেকেই ঘোড়ার গাড়ি চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছেন।
বাঘুটিয়া ইউনিয়নের ঘুশুরিয়া, পয়লা, হাটাইল, হিজুলিয়া ও কাঁঠালিয়া চরে ঘোড়ার গাড়ি চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন নছের আলী, আলামিন, ইউসুফ ও ইয়াসিন সহ আরো অনেকেই। নছের আলী ও তার ছেলে আলামিন বলেন, শুষ্ক মৌসুমে চরাঞ্চলে উৎপাদিত সব ফসল ঘোড়ার গাড়িতে পরিবহণ করতে হয়। আগে বাঘুটিয়া ইউনিয়নের ঘুশুরিয়া চরে দু-একটা ঘোড়ার গাড়ি ছিল। আর এখন ১৫-২০ টা ঘোড়ার গাড়ি হয়েছে। দিনদিন ঘোড়ার গাড়ির চাহিদা বাড়ছে।
ভাড়ায়চালিত মোটরসাইকেল চালক সাদ্দাম হোসেন জানান, চরাঞ্চলে যাতায়াতে এখন ভাড়ায়চালিত মোটর সাইকেলের চাহিদাও বাড়ছে। বালুচর হওয়ায় যাতায়াতে একটু বেশি সময় লাগে তারপরও সারাদিন মোটামুটি তেল খরচ বাদে ৮শ থেকে ১ হাজার টাকা আয় হয়।
এ প্রসঙ্গে চৌহালী উপজেলার ৭নং বাঘুটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জানান, যমুনা নদীতে চর জেগে ওঠায় নৌচলাচল বন্ধ। এ কারণে চরাঞ্চলে যাতায়াতের সুবিধার্থে ভাড়ায়চালিত মোটরসাইকেল ও পণ্য পরিবহণে ঘোড়ার গাড়ি ব্যবহার বেড়ে গেছে। অনেকেই কৃষি ও মৎস্য শিকারের পেশা ছেড়ে দিয়ে ঘোড়ার গাড়ি ও মোটরসাইকেল কিনে ভাড়ায় চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছেন।