সোলায়মান হাসান, নারায়ণগঞ্জ: ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সিদ্ধিরগঞ্জে প্রায় ১৯ কিলোমিটার জুড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে মৌচাক থেকে লাঙ্গলবন্দ ও মেঘনা টোল প্লাজা পর্যন্ত তীব্র যানজট দেখা গেছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন চালক এবং যাত্রীরা। জানা গেছে, লাঙ্গলবন্দ এলাকায় ব্রহ্মপুত্র নদে হিন্দু সম্প্রদায়ের দুই দিনব্যাপী অষ্টমী স্নানোৎসব শুরু হয়েছে। এতে অংশ নিতে লাঙ্গলবন্দে সমবেত হয়েছেন হাজারো হিন্দু ধর্মাবলম্বী। এ কারণে যানজট দেখা দেয়। অনেক যাত্রীদের বাসের জন্য দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। অনেকে গন্তব্যস্থলে না গিয়ে বাসায় ফিরে আসছেন। এছাড়া বাড়তি ভাড়া আদায় করার অভিযোগ রয়েছে যাত্রীদের।
যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মদনপুর থেকে সায়েদাবাদের ৩৫ টাকার ভাড়া ৫০ টাকা করে নিচ্ছে। এছাড়া চিটাগাংরোড থেকে মোগরাপাড়ার ভাড়া ২৫ টাকার পরিবর্তে ৪০ টাকা করে নিচ্ছে।
বিভিন্ন বাসের হেলপার বেশি ভাড়া নেওয়ার কথা স্বীকার করলেও এর নানা কারণ দেখাচ্ছেন। তারা জানান, তীব্র যানজটের কারণে তাদের গাড়ি সময়মতো গন্তব্যস্থলে পৌঁছাচ্ছে না। যার ফলে তারা ভাড়া কিছুটা বেশি নিতে বাধ্য হচ্ছেন। কাইয়ুম নামে এক যাত্রী জানান, শিমরাইল মোড় থেকে সোনারগাঁওয়ের মোগরাপাড়া চৌরাস্তার উদ্দেশে তিনি বেলা ১০ টায় রওনা হয়েছেন। দেড় ঘণ্টায় তিনি মাত্র মদনপুর পর্যন্ত আসতে পেরেছেন। যেখানে তার শিমরাইল মোড় থেকে মদনপুরে মাত্র ২০ মিনিটে পৌঁছে যাওয়ার কথা ছিল।আবুল কাশেম নামের এক যাত্রী জানান, অফিসের উদ্দেশে বের হয়ে তীব্র যানজটের কারণে বাসায় ফিরে আসতে বাধ্য হয়েছেন। আল্লাহর দান পরিবহনের বাসচালক লিটন মিয়া জানান, লাঙ্গলবন্দের স্নানের কারণে সড়কে বাড়তি গাড়ির চাপ। ফলে যানজটে আটকা পড়েছেন। টোল প্লাজা থেকে তিনি দুই ঘণ্টায় কেওঢালা পাড় হয়েছেন।
সৈয়দ আসাদুর রহমান নামের এক ব্যাংক কর্মকর্তা জানান, সকাল সাড়ে ৭টার দিকে তিনি ঢাকার উদ্দেশে মোগরাপাড়া থেকে রওনা হয়েছেন। কেওঢালা আসতেই সাড়ে ১০টা বেজে গেছে। বাধ্য হয়ে তাকে উল্টোপথে রিকশাযোগে ভেঙে ভেঙে যেতে হচ্ছে। কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ওসি মোহাম্মদ সাজ্জাদ করিম খান জানান, শুক্রবার রাত থেকে শুরু হওয়া দুই দিনের স্নানোৎসবে হাজারো হিন্দু ধর্মাবলম্বী লাঙ্গলবন্দে সমবেত হয়েছেন। ফলে মহাসড়কে গাড়ির চাপ বেশি। সকাল থেকেই তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। যানজট নিরসনে তাদের পুলিশের একাধিক টিম মহাসড়কে কাজ করে যাচ্ছে।