নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে আজ সোমবার ঈদের দিন ভোররাতে জ্বর, ঠান্ডা, শ্বাসকষ্ট নিয়ে আবদুল মতিন (৬৫) নামের এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। তাঁর লাশ দাফনে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। পরে প্রশাসনের সহায়তায় লাশ দাফন করা হয়। উপজেলার বিরাবো বড়বাড়ী এলাকায় ঘটে এ ঘটনা।
মৃত ব্যক্তির ছেলে ইশতিয়াক আহম্মেদ কানন বলেন, আবদুল মতিন মিয়া অনেক দিন ধরে ডায়াবেটিস ও হৃদরোগজনিত রোগে আক্রান্ত ছিলেন। এ ছাড়া ১০ দিন ধরে জ্বর, ঠান্ডা ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। আজ ভোররাত সাড়ে তিনটার দিকে বাড়িতেই তিনি মারা যান। এদিকে খবর পেয়ে সকালে বাড়ি গিয়ে লাশ সামাজিক কবরস্থানে দাফন করতে স্থানীয় বিরাব বড়বাড়ী আয়েশা (রা.) মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক আমির আলী বাধা প্রদান করেন। এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা তৈরি হয়। খবর পেয়ে রূপগঞ্জ থানার ভোলাব তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। পরে প্রশাসন ও স্থানীয়দের সহযোগিতায় সামাজিক কবরস্থানে লাশ দাফন করা হয়।
মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক আমির আলী বলেন, ‘নিহত আবদুল মতিন দুলাল ১২ বছর ধরে আমাদের সমাজের মসজিদ ও কবরস্থানের উন্নয়নে কোনো প্রকার টাকা সহায়তা করেননি। এমনকি তারা আমাদের সমাজের আওতাভুক্ত নন। সে জন্য সামাজিক কবরস্থানে লাশ দাফনে বাধা প্রদান করেছিলাম। কিন্তু পরে নিহতের পরিবারের লোকজন জোর করেই কবরস্থানে লাশ দাফন করেছে।’
এ বিষয়ে ভোলাব পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘নিহত ব্যক্তির করোনা উপসর্গ ছিল কি না, সেটি জানি না। দাফনে বাধা দেওয়ার খবর পেয়ে পুলিশের সহায়তায় ওই কবরস্থানে লাশ দাফন করা হয়েছে।’
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সাঈদ আল মামুন বলেন, ‘লাশ দাফনের পর খবর পেয়েছি জ্বর, ঠান্ডা ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। আগামীকাল নিহতের পরিবারের সব সদস্যের নমুনা সংগ্রহের জন্য লোক পাঠানো হবে।’