নোয়াখালী প্রতিনিধি: নোয়াখালীল চাটখিল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো.রমজান আলীর হাতে শিক্ষক লাঞ্ছিত হওয়ার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে চাটখিল উপজেলা পরিষদের সামনে হাটপুকুরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের অংশ গ্রহণে এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন শেষে শিক্ষার্থীরা চাটখিল বাজারে বিক্ষোভ মিছিল করে।
উল্লেখ্য, গত ২২ ফেব্রুয়ারি দুপুর সাড়ে ১২টার চাটখিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ফটকে চাটখিল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রমজান আলী হাটপুকুরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ইংরেজী শিক্ষক মিজানুর রহমানকে মারধর করে।
ভুক্তভোগী শিক্ষক অভিযোগ করে বলেন,ঘটনার দিন সকাল ১০টার দিকে উপজেলার হাটপুকুরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রায় ৫-৬শত ছাত্রছাত্রীকে করোনার দ্বিতীয় ডোজ ভ্যাকসিন প্রদানের জন্য চাটখিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। এ সময় বিদ্যালয়ের ৬-৭ জন শিক্ষকসহ আমি ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে স্বাস্থ কমপ্লেক্সে যাই। ওই সময় আমার ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি হাসপাতালের সামনে রেখে আমি হাসপাতালের ভিতরে যাই। একপর্যায়ে এসে আমি দেখি মোটরসাইকেলের চাকায় হাওয়া নেই এবং এক্সেলেটর নষ্ট হয়ে আছে। এরপর মোটরসাইকেল চালু করে এক্সেলেটর ঠিক করার সময় অত্যধিক শব্দ হলে দায়িত্বরত চাটখিল থানার এস আই রমজান আলী আমাকে বলেন, গেটের বাহিরে গিয়ে চেষ্টা করেন। এখানে শব্দে সমস্যা হচ্ছে।
তিনি আরো অভিযোগ করে বলেন, তারপ আমি গেইটে গিয়ে আবার চেষ্টা করলে এসআই রমজান আলী গিয়ে আমাকে থাপ্পড় মারেন ও গালমন্দ করেন। আমি শিক্ষক পরিচয় দিলে তিনি পুনরায় ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে চড়-থাপ্পড় মারেন। তাৎক্ষণিক বিষয়টি স্থানীয় সংসদ সদস্য ও স্কুল ম্যানেজিং কমিটিকে মৌখিকভাবে অবহিত করি। এ ঘটনা লিখিতভাবে চাটখিল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগের বিষয়ে চাটখিল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রমজান আলী অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে বলেন,স্কুলের ছাত্রছাত্রীর টিকা দেওয়ার কারণে হাসপাতালের বাহিরে অনেক ঝামেলা ছিল। এ সময় বহিরাগত লোকজনকে সরাতে গেলে ওই শিক্ষকের সাথে ধাক্কা লাগে। তবে শিক্ষককে কোন মারধর করা হয়নি।