সৌদি আরবে অবৈধ শ্রমিকদের কাজ দিলে নিয়োগদাতার বিরুদ্ধে নতুন আইনে কারাদণ্ড কিংবা এক লাখ রিয়াল জরিমানার নিয়ম করেছে দেশটির সরকার। এ ছাড়া কোনো শ্রমিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ হলে পাঠিয়ে দেওয়া হবে নিজ দেশে। কঠোর জরিমানা বা শাস্তির মুখোমুখি হওয়ারও সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
সৌদি শ্রম আইন লঙ্ঘনকারী বিদেশিদের, কাজে নিয়োগ না দিতে সৌদি নাগরিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে দেশটির সরকার। সে সঙ্গে আইন লঙ্ঘনকারী কারো বিষয়ে তথ্য জানা থাকলে তা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে জানাতে নাগরিকদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে বলে জানা গেছে।
সৌদি আরবের প্রবাসী শ্রমিক নিয়োগ দেওয়ার নিয়ম অনুযায়ী, কোনো অবৈধ অভিবাসী ধরা পড়লে তাকে জরিমানা বা শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে। দেশে ফেরত পাঠানোর আগে তার আঙুলের ছাপ রেখে দেওয়া হবে যাতে ওই ব্যক্তি ভবিষ্যতে আর সৌদি আরবে কাজের জন্য আসতে না পারে। দেশটির পাসপোর্ট অধিদফতর জানিয়েছে, সৌদি আরবের আবাসিক, শ্রম ও সীমান্ত নীতি লঙ্ঘন করে কাউকে নিয়োগ দেওয়া হলে, বা আশ্রয় দিলে অন্তত ছয় মাসের কারাদণ্ড এবং এক লাখ রিয়াল জরিমানা গুনতে হতে পারে জড়িতদের।
সৌদি সরকারের নতুন এ আইনের নিয়ম লঙ্ঘনকারী ব্যক্তি যদি কোনো প্রবাসী হন, তবে তাকে নিজ দেশে পাঠিয়ে দেওয়া এবং অপরাধ অনুসারে জরিমানা গুনতে হতে পারে। শুধু তাই নয়, পর্যটক ভিসায় যারা সৌদিতে প্রবেশ করেছেন, তাদের ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই নিজ দেশে ফিরে যেতে হবে বলে জানায় সংশ্লিষ্টরা।
বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মালিকদের প্রতি সৌদি পাসপোর্ট অধিদফতর আহ্বান জানিয়েছে- সৌদি আবাসন, নিয়োগ ও সীমান্ত নিরাপত্তা বিধান লঙ্ঘন করে যাতে কাউকে কাজে নিয়োগ দেওয়া না হয়। যারা নিয়মবহির্ভূত কাজ করবেন তাদের এক লাখ রিয়াল জরিমানা এবং ওই প্রতিষ্ঠানে প্রবাসীদের নিয়োগ অন্তত পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করে দেওয়া হবে।
এ বিধি লঙ্ঘনের দায়ে এক বছরের কারাদণ্ড ও প্রতিষ্ঠানের মালিক যদি প্রবাসী হন, তাকেও নিজ দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। গত এক বছরের অভিযানে সীমান্ত নিরাপত্তাব্যবস্থা লঙ্ঘন, অবৈধ বসবাস ও কাজের সুযোগ নেওয়ায় অন্তত ২৫ লাখ ৪০ হাজার লোককে আটক করা হয়েছে। সৌদি আরবে প্রায় ২০-২২ লাখ প্রবাসী বাংলাদেশি সৌদি আরবে বিভিন্ন পেশায় কাজ করছেন, যার মধ্যে ৬০ হাজার নারী কাজ করছেন গৃহকর্মী হিসেবে।